চুল রং করার আগে ক্ষতিকারক দিকগুলো একটু জেনে নিন
নিত্য নতুন হেয়ার কাট ও হেয়ার কালার আপনার ফ্যাশন স্টেটমেন্টে আলাদা মাত্রা যোগ করে। তাই না? তবে চুল রং করার আগে ক্ষতিকারক দিকগুলো একটু জেনে নিন।
হেয়ার কালার কিন্তু ডেকে আনতে পারে ক্যান্সার। ফ্যাশনের জন্যেই হোক বা সাদা চুল ঢাকতে‚ দেখা গেছে মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের ওপরে ৩ জনের মধ্যে একজন আর পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪০ বছরের ওপরে ১০% পুরুষ, হেয়ার কালার ব্যবহার করে। হেয়ার কালারে ব্যবহার করা হয় অ্যারোমেটিক অ্যামাইন্স। গবেষণা করে দেখা গেছে, যারা এই রঙ ব্যবহার করছে এবং যারা এই রঙ লাগিয়ে দিচ্ছে, তাদের দুই জনেরই ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।
লিউকিমিয়া হওয়ার আশঙ্কা
একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, যারা স্থায়ী রং ব্যবহার করেছে তাদের ব্লাড ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা অনেকেটা বেড়ে গেছে। তবে সাম্প্রতিককালের পরীক্ষানিরীক্ষা বলছে সেই আশঙ্কা এখন কমেছে অনেকটাই। ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হেলসিনকি এবং ফিনিশ ক্যান্সার রেজিস্ট্রিতে কর্মতর বিশেষজ্ঞ সান্না হেইক্কিনেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা চালান। তাঁর মতে নারীদের স্তন ক্যান্সারের পেছনে প্রধান কারণগুলো হলো, বেশি বয়সে প্রথম সন্তান জন্মদান ও চুল রং করা। এই গবেষণায় স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ৮ হাজার নারীর কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়। আরো ২০ হাজার নারীর তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
রংয়ে থাকা অ্যামোনিয়া চুলের বাইরের স্তরকে একেবারে নষ্ট করে দেয়। হেয়ার কালারের পারোক্সাইড চুলের প্রকৃত রঙকে ফিকে করতে শুরু করে। অ্যামোনিয়া বিহীন রংও চুলের জন্য ক্ষতিকর কারণ সেখানে রাসায়নিক উপাদান থাকে। ডাইটা যত বেশি সময় চুলে রাখবেন, তত বেশি ক্ষতি হবে, ডাই করার পর যত দ্রুত চুল ধুয়ে ফেলা যায় ততই ভালো। তবে প্রাকৃতিক চুলের রং হলে ভিন্ন কথা। মেহেদি, ইনডিগো পাতা দিয়েও চুল রাঙানো যায়। সেটি কিন্তু ক্ষতিকর নয়।