বীর্য বাড়াতে হাতের কাছের এই ৫ খাবার খান
টেস্টোস্টেরন কম, এমন পুরুষ আমাদের চারপাশে কম নেই। পরীক্ষা না-করানোর কারণে অনেক সময় আমরা তা ধরতেই পারি না। বা নিজেরাও নিজেদের এই খামতির কথা জানি না। টেস্টোস্টেরন বা পুরুষ হরমোন কম হওয়ার একটা কারণ নিয়মিত উচ্চ ফ্যাট যুক্ত খাবার। সেইসঙ্গে ব্যায়ামে অনিহা। বাণিজ্যিক দুধের মতো যাতে উচ্চমাত্রায় ট্রান্স-ফ্যাট রয়েছে বা মাইক্রোওয়েভে তৈরি রান্নাও কিন্তু টেস্টোস্টেরনের বারোটা বাজায়।
আর এই টেস্টোস্টেরন তৈরিতে বাধা মানে কামশক্তির দফারফা। আমেরিকার মতো দেশেও প্রতিবছর গড়ে ৫ লক্ষ করে পুরুষের টেস্টোস্টেরন ঘাটতি ধরা পড়ে। মনে রাখবেন আপনার ভুঁড়ি যত বাড়বে, যত শরীরে মেদ জমবে, টেস্টোস্টেরন সেই অনুপাতেই কমবে। তাই টেস্টোস্টেরন বাড়াতে হলে শরীরে মেদ জমতে দেবেন না। এ জন্য ঘাম ঝরাতে হবে।
এই ৪ টেস্টোস্টেরন ঘাতক
১. বাণিজ্যিক দুধ, দই ও চিজ
২. প্যাকেটজাত ও খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ করা খাবারদাবার
৩. সোয়াভিত্তিক খাবার
৪. মাইক্রোওয়েভে তৈরি খাবার
এস্ট্রোজেনিক ও প্রোজেস্টেরন যৌগ থাকায় এই খাবারগুলো ছেলেদের যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এস্ট্রোজেন বাড়লে টেস্টোস্টেরন হরমোন স্বাভাবিক ভাবেই কমবে। ক্রমে গড়নে মেয়েলি কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে।
যে পাঁচ খাবারে টেস্টোস্টেরন বাড়ে:
১. গোটা ডিম
২. গোমাংস (ঘাস খায় এমন গোরুর)
৩. অ্যালমন্ডস
৪. কাজুবাদাম
৫. নারকেল তেল
উপরে উল্লিখিত খাবারগুলো হল স্যাচুরেটেড বা সম্পৃক্ত ফ্যাটের উত্স, যার মধ্যে থাকে কোলেস্টেরল। যে কোলেস্টেরল থেকে আমাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন তৈরি হয়। তা বলে বেশি বেশি সম্পৃক্ত ফ্যাট আবার না-খাওয়াই ভালো। একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। খুব কম খেলে যেমন শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা একদম কমে যাবে, আবার বেশিমাত্রায় হার্টের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
জার্নাল অফ অ্যাপলায়েড ফিজিওলজির একটি রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, খাদ্যতালিকায় ৪০ শতাংশ ফ্যাট টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। সেই তুলনায় যাঁদের খাবারে ২০ শতাংশ ফ্যাট থাকে, তাঁদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও খুব কম।