আবহাওয়ার পরিবর্তনে সমস্যার সমাধান
গরম ছেড়ে ক্রমশ ঠান্ডা পড়ছে। আর এই ঋতু পরিবর্তনের সময়েই জাঁকিয়ে ধরে সর্দি, কাশি আর জ্বর। আর এই জ্বরের কবলে পড়লে শরীরে দুর্বলতাও তৈরি হয়। তাই এই জ্বরের কবলে পড়ার আগে থেকে সাবধান থাকুন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সময়ের ফ্লু এড়াতে এই কাজগুলি করুন—
• প্রতিবেদনটি থেকে জানা গিয়েছে, ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কনট্রেোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ এই ফ্লু এড়ানোর জন্য প্রতি বছর ফ্লু-ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বিভিন্ন রকমের ফ্লু ভ্যাকসিন হয়। এই ভ্যাকসিন নিলেই সবথেকে সহজে এড়ানো যায় ফ্লু। যেসব ভাইরাসের জন্য ফ্লু হয়ে থাকে, ভ্যাকসিন নিলে সেই ভাইরাসগুলি কোনও ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে না।
• পরিষ্কার পরিছ্ন্নতা ঠিক ভাবে বজায় রাখলে এড়ানো যায় এই রোগ। যখন কাশবেন বা হাঁচি দেবেন, টিশ্যু পেপার দিয়ে নাক ঢেকে রাখুন। তার পরেই এই টিশ্যু পেপার ফেলে দিন। অবশ্যই নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। না ধোয়া হাত চোখে, নাকে বা মুখে ছোঁয়াবেন না। হাতে লেগে থাকা ভইরাস চোখ, নাক বা মুখে গিয়ে শরীরে প্রবেশ করে।
• যাঁদের ফ্লু হয়েছে, তাঁদের থেকে দূরে থাকুন। আপনার ফ্লু হলে বাড়িতে থাকুন। না হলে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই রোগ। জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পরেও ২৪ ঘণ্টা বাড়িতে থাকুন।
• অনেকে আছেন, যাঁদের উপরে ফ্লু-এর ভাইরাস তাড়াতাড়ি জাঁকিয়ে বসে। এঁরা আক্রান্ত হলে হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হতে পারে। এমনকী, মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ৫ বছর বা তার থেকে ছোট বয়সের শিশু এবং ৬৫ বছরের উপরের বৃদ্ধ এবং প্রসূতি মহিলাদের বিশেষ ভাবে সাবধান থাকতে হবে।
• এ ছাড়া যাঁদের হাঁপানি, হার্টের সমস্যা, ফুসফুস, কিডনি, লিভারের সমস্যা, ডায়বেটিস, এবং মেটাবলিক ডিসঅর্ডারস আছে তাঁদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। তাঁরা নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন এই সময়ে।