ক্যান্সার ঠেকাবে ব্রেস্ট সাকিং
আপনার স্বামী বা আপনার বয় ফ্রেন্ডকে বলুন, তারা যদি আপনাকে সত্যি-সত্যিই ভালবাসেন, তাহলে আপনার সঙ্গে মিলনের সময় যেন তিনি অনেক সময় ধরে আপনার ‘ব্রেস্ট সাক’ করেন। যেন আপনার দুই ব্রেস্টের দুটি ‘নিপ্ল’ বা স্তন-বৃন্ত অনেক ক্ষণ ধরে আপনার স্বামী বা ‘বয় ফ্রেন্ড’ তার মুখের মধ্যে রাখেন। বার বার তাতে জিভ বোলান। ওই ‘ব্রেস্ট সাকিং’টা আরো ভালো হয়, যদি আপনার স্বামী আপনার স্তনের ওপর থেকে নিচে জিভ দিয়ে ‘সাকিং’ করেন।
নিচ থেকে ওপরে উঠলে ততটা কাজ হবে না। মিলনের সময় যত বেশি সময় ধরে আপনার স্বামী বা বয় ফ্রেন্ড ওই কাজটা করবেন, জানবেন, তিনি আপনাকে তত বেশি ভালোবাসেন। আপনার কথা ভাবেন। আপনার ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা, তিনি আসলে কমিয়ে দিচ্ছেন। আর আপনিও যদি যৌন সংসর্গের সময় আপনার স্বামী বা বয় ফ্রেন্ডের স্তন-বৃন্ত দুটি অনেক ক্ষণ ধরে মুখের মধ্যে ধরে রাখেন, তাতে জিভ বোলান, তাহলে জানবেন, আপনার পুরুষ সঙ্গীটিরও চেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণার ফলাফল এমনই জানাচ্ছে। ওই গবেষণা বলছে, মিলনের সময় দুই সঙ্গীরই একে অন্যের কথা ভাবা উচিত। শরীরি উষ্ণতায় অগ্র-পশ্চাৎ, সব কিছু ভুলে গেলে চলবে না। সঙ্গীটির ভবিষ্যতের কথাও মাথায় রাখতে হবে। গবেষণার আরো দাবি, মিলনের সময় যত বেশি সময় ধরে দুই সঙ্গী একে অপরের ‘ব্রেস্ট সাক’ করবেন, ততই তারা একে অন্যের ক্যানসারের সম্ভাবনা কমিয়ে দেবেন।
ব্রিটিশ গবেষক জেমস ক্লস্কির এ গবেষণা হালে বিশ্ব জুড়ে আলোড়ন ফেলেছে। এর পাশাপাশি, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়েরও একটি সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল জানাচ্ছে, ‘ওই ‘ব্রেস্ট সাকিং’-এর সঙ্গে যদি মায়েরা তাদের সন্তানকে কম করে দুবছর ধরে এক টানা স্তন্যপান করান, ধূমপান কম করেন, তাহলে তাদের ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনাটা অন্তত ৫০ শতাংশ কমে যায়। গত দশ বছর ধরে বিভিন্ন দেশে সমীক্ষা চালিয়ে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
তারা দেখেছেন, কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাদের চেয়ে শ্বেতাঙ্গরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ব্রেস্ট ক্যানসারে। এর অন্যতম কারণ, কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা ও তাদের পুরুষ সঙ্গীদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, মিলনের সময় তারা অনেক বেশি সময় ধরে ‘ব্রেস্ট সাক’ করতে ভালোবাসেন। ভালোবাসেন ‘চেস্ট সাক’ করতেও।
অন্য কথাও বলছেন কোনো কোনো গবেষক। তাদের বক্তব্য, এমন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য তাদের হাতে নেই, যাতে তারা বলতে পারেন, মিলনের সময় ‘ব্রেস্ট সাকিং’ অনিবার্যভাবেই কমিয়ে দিতে পারে ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা। ঘানার পিস অ্যান্ড লাভ হসপিটালের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্যানসার বিশেষজ্ঞ বিয়াত্রিস ওয়াইয়াফে আদ্দাই বলেছেন, ‘ব্রেস্ট সাক করলেই ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা কমে যাবে, এমন কথা বলার জন্য যে তথ্য লাগে, আমার হাতে সে সব তথ্য নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, মিলনের সময় খুব বেশি সময় ধরে ‘ব্রেস্ট’ নিয়ে নাড়াচাড়া করলে, তা ব্রের্স্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ওই সম্ভাবনা কমানোর জন্য খুব আঁটোসাটো অন্তর্বাস পরার ‘বদভ্যাস’ও ছাড়তে হবে নারীদের।’