যৌনতার‘নতুন’ধরন আবিষ্কৃত, জিম-স্লিমদের দিন শেষ?
বিপরীত লিঙ্গের মানুষ খুঁজে নিচ্ছেন তাঁর আকর্ষণের ব্যক্তিকে শুধুমাত্র পোস্ট বা স্টেটাসে অন্য কিছু দেখে। প্রোফাইল পিকচারে তাঁদের মন ভরছে না।
মেয়েরা পুরুষের ঠিক কোনখানে শরীরী আকর্যণকে খোঁজেন? পেশল চেহারায়? কমনীয় মুখাবয়বে? নাকি বাকপটুত্বে, পোশাকের পারিপাট্যে? পুরুষ কি কেবলমাত্র নারীর শারীরিক সৌন্দর্যেই আকৃষ্ট হন? সমকামীরাও কি কেবল বহিরঙ্গের সৌন্দর্যকেই খোঁজেন তাঁর সঙ্গীর মধ্যে? যাঁরা শরীরবাদী প্রেমকে নাকচ করতে চান, তাঁরা বলতেই পারেন‘শরীর, শরীর শুধু, তোমার মন নাই কুসুম?’এখানে অবশ্য‘মন’বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট করে জানা দরকার। মন মানে কি অনুভবের ক্ষমতা, নাকি মন মানে শরীরকে পাশে সরিয়ে এক অন্য যাপনের সন্ধান?
সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন এমন সব মানুষ, যাঁরা তাঁদের যৌন আকর্ষণের কেন্দ্রে কিছুতেই শরীরকে রাখতে পারেন না। এমনকী তাঁরা বিপরীতের মানুষটিকে চোখে না দেখলেও গভীরভাবে তাঁর প্রেমে পড়েন। সেই প্রেম আবার দারুণভাবে শরীরী। তাঁরা আসলে প্রেমে পড়েন বিপরীতে থাকা মানুষটির বুদ্ধিমত্তা বা বৌদ্ধিক চেতনার। শরীর-কেন্দ্রিক সমাজে এই ধরনের যৌনতার মানুষ অনিবার্যভাবেই সংখ্যালঘু। এই বিশেষ সেক্সুয়াল টাইপটিকে মনস্তাত্ত্বিকরা চিহ্নিত করেছেন ‘স্যাপিওসেক্সুয়ালিটি’হিসেবে। ২০০২ সালে এই টার্মটি জনৈক ব্লগার প্রথম ব্যবহার করেন, তার পর থেকে ক্রমে লেসবিয়ান, গে, ট্রান্সসেক্সুয়াল, প্যানসেক্সুয়াল, মেট্রোসেক্সুয়াল ইত্যাদি তকমার পাশে স্থান করে নিতে থাকে শব্দটি। ২০১৪-এ বিখ্যাত ডেটিং সাইট‘ওকেকিউপিড’স্যাপিওসেক্সুয়ালদের নতুন করে জায়গা দেয়। তাদের জন্য আলাদা ক্যাটিগরি রাখা শুরু হয় এ%