শরীরের ওজন কমাতে সাঁতার
দিনভর ক্লান্তি শেষে সুইমিং পুলে নেমে একটুখানি সাঁতার; চটজলদি শরীর ও মন ফুরফুরে করে তুলতে এর জুড়ি নেই। সাধারণ ব্যায়াম হিসেবে নয়, এর ফলাফল সুদূরপ্রসারী। সব বয়সী নারীর জন্য সাঁতার বেশ ভালো একটি ব্যায়াম। জগিং কিংবা জিম করার চেয়ে সাঁতার শরীরের জন্য বেশি ভালো। তাই যাদের এক্সারসাইজ করায় অনীহা আছে, তাদেরকে সাঁতারের পরামর্শ দেন ফিজিওথেরাপিস্টরা।
* শরীরের ওজন কমাতে সাঁতার বেশ উপকারী। এর সুবাদে ভেতরের মাংসপেশিগুলো সচল হয়। এতে শরীরের বাড়তি মেদ যেমন খুব দ্রুত ঝরে, তেমনি শরীর থাকে ফিট।
* জয়েন্ট পেইন যেমন: হাঁটু কিংবা কোমরের ব্যথা কমে যায় অনেকাংশে।
* শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে বাড়ে হজমশক্তি। সাঁতারে পেটের ওপর চাপ পড়ায় বাড়তি মেদ অপসারিত হয় অতি সহজে।
* সাঁতার শরীরের নমনীয়তা বাড়ায়।
* হৃদরোগজনিত জটিলতা কমাতে সাহায্য করে।
* মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে সাঁতার বেশ ভালো কাজ করে। নিয়মিত সাঁতার কাটলে মন প্রফুল্ল এবং মস্তিষ্ক ভালো কাজ করে।
* ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। শুধু তাই নয়, এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সাঁতার কাটলে মানুষ দীর্ঘজীবী হয়।
সুইমিং পুলের নেতিবাচক একটি দিক হলো এর পানিতে ক্লোরিন থাকে, যা ত্বকের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই যাদের সেনসেটিভ ত্বক, ক্লোরিনের কারণে অবাঞ্ছিত রিংকেল দূর করতে তারা অবশ্যই সাঁতারের পর মুখ ভালো করে ধুয়ে নেবেন। আর যাদের শুষ্ক ত্বক, তারা অবশ্যই সাঁতার শেষে ত্বক উপযোগী লোশন কিংবা ফেস মাস্ক ব্যবহার করবেন।