৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

হেপাটাইটিস সি-এর সংক্রমণের বিষয়ে জানুন

হেপাটাইটিস সি (HCV) এমন একটি ভাইরাস যা লিভারের প্রদাহ সৃষ্টির জন্য দায়ী। এটি হেপাটাইটিস এ ও হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পরিবারের সদস্য। এই ভাইরাসগুলো প্রত্যেকেই আলাদা এবং এদের সংক্রমণের ধরণ ও আলাদা। হেপাটাইটিস সি লিভার ড্যামেজ, লিভার ফেইলিউর, লিভার ক্যান্সার এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তেমন কোন লক্ষণ প্রকাশ করেনা বলে এই ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের পরেও অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। হেপাটাইটিস সি এর সংক্রমণের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই চলুন।

হেপাটাইটিস সি এর লক্ষণসমূহ

জন্ডিস, পেটে ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব এবং ক্লান্ত অনুভব করা।

কীভাবে সংক্রমিত হয়?

এই ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের মাধ্যমে বা বডি ফ্লুইড এর মাধ্যমে ছড়ায়। সংক্রমিত সূচ বা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যক্তিগত জিনিস যেমন- রেজর, টুথব্রাশ ইত্যাদি অন্য কেউ ব্যবহার করলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে খাদ্য, পানি বা সাধারণ স্পর্শের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায় না।

কাদের হয়?

– হেপাটাইটিসসিতেআক্রান্তহয়েছিলেনএমনরক্তদাতাররক্তগ্রহণকরলে

– ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ঔষধ গ্রহণ করে থাকলে

– ১৯৯২ সালের জুলাই মাসের পূর্বে রক্তদান অথবা অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে থাকলে

– ১৯৮৭ সালের পূর্বে রক্ত জমাট বাঁধার চিকিৎসা করে থাকলে

– ১৯৪৫-১৯৬৫ সালের মধ্যে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন

– দীর্ঘমেয়াদে কিডনি ডায়ালাইসিস করাতে হলে

– HIV থাকলে

– গর্ভবতী মায়ের শরীরে এই ভাইরাস থাকলে তা সন্তানের মধ্যেও ছড়িয়ে পরে

ডায়াগনোসিস

ব্লাড টেস্ট করানোর মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস শনাক্ত করা যায়।

দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

৭৫-৮৫ শতাংশ মানুষের মধ্যেই দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণের প্রভাব দেখা যায়, একে ক্রনিক হেপাটাইটিস সি বলে। যা লিভার ক্যান্সার এবং লিভার সিরোসিসের মত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসা

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হেপাটাইটিস সি এর চিকিৎসার ব্যপক পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে FDA প্রতিদিন একটি করে Zepatier সেবনের অনুমতি দিয়েছে। এই ঔষধটির ১০০% রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা আছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। Harvoni নামের আরেকটি ঔষধ প্রতিদিন একটি করে খাওয়ার ফলে ৮-১২ সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাওয়ার মত সাফল্য লাভ করতে দেখা গেছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলের সময় এই উভয় ঔষধের ক্ষেত্রেই মাথা ব্যথা ও ক্লান্তি এই দুইটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। হেপাটাইটিস নিরাময়ের জন্য আরো অনেক ধরণের ঔষধই আছে। তবে আপনার অবস্থা ও ভাইরাসের ধরণ বুঝেই চিকিৎসক আপনাকে পরামর্শ ও নির্দেশনা দেবেন।

ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

হেপাটাইটিস সি নিরাময়ের ঔষধ সেবনের ফলে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো দেখা যেতে পারে তা হল – ফ্লুএরমত লক্ষণ দেখা যেতে পারে, অবসাদ, চুল পরে যাওয়া, রক্ত কমে যাওয়া, চিন্তা করতে সমস্যা হওয়া, দুর্বল অনুভব করা এবং অবসন্ন বোধ করা ইত্যাদি।

সংক্রমণ প্রতিরোধ

হেপাটাইটিস সি প্রতিরোধের জন্য কোন টিকা নেই। সংক্রমণ এড়িয়ে চলার জন্য যা করতে পারেন – আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যক্তিগত জিনিস যেমন- রেজর, টুথব্রাশ ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ট্যাটু করার সময়, শরীরে কোন ছিদ্র করার সময় বা পার্লারে মেনিকিউর করার সময় ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলো জীবাণুমুক্ত কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন। আক্রান্ত হয়ে থাকলে রক্ত দান করা থেকে বিরত থাকুন।

Comments

comments