মেরুদণ্ডের আঘাত সারাতে সাপ
অবশেষে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন সাপ কেন এত লম্বা হয়।
আর এ আবিষ্কার করতে গিয়ে তারা দেখতে পেয়েছেন, মানুষের মেরুদণ্ডের আঘাতের চিকিৎসায় সাপ দারুণ কাজে লাগতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সাপের লম্বা পিচ্ছিল দেহটির গঠনের নেপথ্যে রয়েছে একটি একক জিনের ভূমিকা। অক্ট৪ নামের এই জিনটি থেকে সাপের স্টেমসেল তৈরি হয়। আর এই জিনটির প্রভাবে এ মেরুদণ্ডী প্রাণিটির শরীরে লম্বা মধ্যভাগ গঠিত হয়।
সাধারণত ভ্রুণ অবস্থায় সরীসৃপের ক্ষেত্রে যে বিবর্তন হয়, অক্ট৪ জিনের কারণে সাপের বেলায় তা অনেক বেশি সময় ধরে চলতে থাকে।
পর্তুগালের লিসবনের ইনস্টিটিউটো গুলবেনকিয়ান ডি সিয়েনসিয়ায় (আইজিসি) পরিচালিত এক গবেষণাকালে বিজ্ঞানীরা সাপ সম্পর্কে এই চমৎকার তথ্য আবিষ্কার করেন।
তারা জানিয়েছেন, সাপের শরীরকে দীর্ঘকায় রাখতে অক্ট৪ জিনের ভূমিকা সম্পর্কে যে নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে, তাতে মানুষের মেরদণ্ডের হাড় পুনঃযোজনের বিষয়ে আশাবাদ তৈরি হচ্ছে।
আইজিসির বিজ্ঞানী ড. রিতা আইরিস বলেন, সাপের শরীরের বিভিন্ন অংশ গঠনের কাজে বিভিন্ন জিনের মধ্যে তীব প্রতিযোগিতা চলে। সাপের শরীরের মধ্যভাগ গঠনে জড়িত জিনদের কার্যক্রম থামিয়ে দিয়ে লেজ গঠনে জড়িত জিনদের কার্যক্রম শুরু হয়।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে সাপের ক্ষেত্রে ভ্রুণ বিকাশের লম্বা সময়জুড়ে অক্ট৪ জিন সক্রিয় থাকে, সে সাপের মধ্যভাগ অনেক বড় হয় এবং লেজটি খুবই ছোট হয়।
গবেষণা দলের প্রধান ড. মইজেস মালো বলেন, শাপের শরীরের মধ্যভাগের কাঠামোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং দীর্ঘ সময় ধরে এটি চলমান থাকার মূল কারণটি চিহ্নিত করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, এখন আমরা অনুসন্ধান করে দেখছি যে, মেরুদণ্ডের হাড় গঠনকারী কোষ বৃদ্ধিতে অক্ট৪ জিন এবং শাপের মধ্যভাগের ডিএনকে ব্যবহার করা যায় কি না। সূত্র: ইনডিপেন্ডেন্ট