৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

ঘাড়ব্যথা দূর করতে যা করবেন

ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছেন? বর্তমানে আমাদের জীবনযাত্রা এতটাই যান্ত্রিক হয়ে গেছে যে, সব সময় নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখা হয়ে ওঠে না। পরিসংখ্যান বলে, প্রতি দশ জনের মধ্যে সাত জন জীবনের কোন না কোন সময় ঘাড়ের ব্যথায় আক্রান্ত হন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ব্যথা সামান্য হলেও অনেক ক্ষেত্রেই এই ব্যথা মারাত্মক হতে পারে।

মেরুদণ্ডের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন সমস্যার কারণে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। বাতের ব্যথা ও ওস্টিওফাইটস এবং ডিস্ক পলাপস বা দুটি হাড়ের মধ্যবর্তী স্থানের ডিস্ক সরে গেলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও স্নায়ুচাপ কিংবা ঘাড়ের মাংসপেশী শক্ত হয়ে গেলে, অনেকক্ষন কম্পিউটারের সামনে সঠিক ভঙ্গিতে কাজ না করলে, হেড ও নেক ইনজুরি, মেরুদণ্ডে জীবাণু দ্বারা সংক্রমণ, হাড় ভেঙ্গে অথবা ফাটলে, অপর্যাপ্ত ঘুম, সার্ভিক্যাল স্পনডাইলসিসের কারণেও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।

ঘাড়ে ব্যথার সাধারণ লক্ষণগুলো হল

  • ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথার পাশাপাশি আক্রান্ত স্থানে হাত দিলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া, হাতের আঙ্গুলের জয়েন্ট ফুলে যাওয়া, হাতে ঝিনঝিন, জ্বালাপোড়া, অবশ ও ভারী বোধ হওয়া, ঘাড়ের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, মাঝে মাঝেই ঘাড়ের পেশী সংকুচিত হওয়া, হাতের শক্তি কমে যাওয়া, বেশিক্ষণ লেখালেখি বা কম্পিউটারে বসে কাজ করতে না পারা, মাথা ব্যথা হওয়া ইত্যাদি। ব্যথা বেশি হলে ঘাড়ে হালকা গরম সেক দেয়া যেতে পারে। ঘাড়ের ব্যয়াম বেশ আরাম দেবে। চিকিৎসকের পরামর্শে সার্ভিক্যাল কলার ব্যবহার করতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘাড়ে ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ সার্ভিকাল স্পনডাইলোসিস। মেরুদণ্ডের ক্ষয়রোগ হল স্পন্ডাইলোসিস আর মেরুদন্ডের ঘাড়ের অংশের ক্ষয়ে যাওয়া হল সার্ভিকাল স্পনডাইলোসিস। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগটি দেখা দিলেও বর্তমানে কমবয়সীদের মধ্যে বা যারা অনেকক্ষণ সামনে ঝুঁকে কম্পিউটারে কাজ করেন এমন মানুষদের মধ্যে রোগটি বেশি দেখা যাচ্ছে।

ঘাড়ে ব্যথা এড়াতে যা করবেন

  • শক্ত সমান বিছানায় ঘুমান। চেষ্টা করুন চিত হয়ে ঘাড়ের নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমাতে। প্রয়োজনে বালিশ নিচে টেনে নামিয়ে ঘাড়ের নিচে নেবেন।
  • পড়ালেখা, কম্পিউটারে কাজ করা, গাড়ি চালানো বা অন্য যেকোনো কাজের সময়, এমনকি দাঁড়ানো অবস্থাতেও ঘাড় ঝুঁকিয়ে বা বাঁকিয়ে রাখবেন না। মনিটর চোখের লেভেলে রেখে কাজ করুন।
  • অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম গ্রহণ করুন।

Comments

comments