শিশুকে ঝাঁকানো তার জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ
শিশুদের শূন্যে তুলে ঝাঁকানো মোটেই উচিৎ নয়।
তাই বাবা-মায়েরা সাবধান হোন। নতুন এক গবেষণায় একে জীবনসংহারি বলা হয়েছে। এই গবেষণায় আমেরিকার ৬২৮ জনের মত ডাক্তারের প্রতিক্রিয়ার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ছোট শিশুকে ঝাঁকানো হলে এতে সে মারাত্মক আঘাত পেতে পারে। এই জখমের ফলে শিশুর মস্তিষ্ক থেকে রক্ত বের হয়ে আসতে পারে যাকে সাবডুরাল হেমাটোমা বলে। গবেষণাটি সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।
আমেরিকার বেশিরভাগ ডাক্তাররাই একমত হয়েছেন যে, ছোট শিশুকে ঝাঁকানো তার জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ। সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, ছোট শিশুকে ঝাঁকালে তার মস্তিষ্ক থেকে রক্ত বাহির হয়ে আসে, তীব্র রেটিনাল রক্তক্ষরণ হয় এবং সে কোমায় চলে যেতে পারে বা তার মৃত্যুও হতে পারে। আমেরিকার শিকাগোর অ্যান এন্ড রবার্ট এইচ লুরি চিলড্রেনস হসপিটালের ডাক্তার ও এই গবেষণায় নেতৃত্ব দানকারী লেখক সন্দীপ নারাং বলেন, “আমাদের তথ্যে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে শিশুকে ঝাঁকানো নির্যাতনের একটি বিপদজনক ফর্ম এবং চিকিৎসকেরাও এটা স্বীকার করেছেন”। পেডিয়াট্রিক্স নামক জার্নালে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
এই জরিপে যে ডাক্তারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় তারা আমেরিকার প্রধান ১০ টি শিশু হাসপাতালে আঘাত প্রাপ্ত শিশুদের চিকিৎসার কাজে সম্পৃক্ত থাকেন। এদের মধ্যে ৮০% চিকিৎসক ৩ বছরের ছোট শিশুকে ঝাঁকানো হলে সাবডুরাল হেমাটোমা হতে পারে বলে মত দেন, ৯০% বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন যে এতে শিশুর মারাত্মক রেটিনাল রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং ৭৮% চিকিৎসক মনে করেন এতে শিশুটি কোমায় চলে যেতে পারে বা শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।
তাই ৩ বছরের কম বয়সের শিশুকে আদর করার অজুহাতে শূন্যে তুলে ঝাঁকাবেন না। নিজে সতর্ক হোন এবং অন্য কাউকে এমন করতে দেখলেও নিষেধ করুন।