কিডনি ভালো রাখার ৮ উপায়
কিডনি রক্ত ফিল্টার করে, মূত্রের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, হর্মোন উৎপাদন করে৷ এই সব ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে তার অর্থ, কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। কিডনি ভালো রাখার আট উপায় জেনে নিন-
সচল থাকুন, সক্রিয় থাকুন: খেলাধুলা, হাঁটাচলা, ব্যায়াম হলো ব্লাড প্রেসার কমিয়ে রাখার এবং ডায়াবেটিস রোখার শ্রেষ্ঠ পন্থা৷ ডায়াবেটিস থেকেই কিডনির সমস্যা দেখা দেয়৷ ডায়ালিসিস রোগীদের ৩০ শতাংশ ডায়াবেটিসের রোগী।
ব্লাড সুগার চেক করান: ব্লাড সুগারের লেভেল স্টেডি থাকা চাই৷ উচ্চ ব্লাড সুগার কিডনির ভেতরের ব্লাড ভেসেল’গুলোর ক্ষতি করে, ফলে ঠিকমতো রক্ত পরিশোধন হয় না৷ ব্লাড সুগার ঠিক থাকলে, কিডনিও ভালো থাকে।
ব্লাড প্রেসারের খেয়াল রাখুন: উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ফেইলিওর এর দ্বিতীয় প্রধান কারণ৷ দীর্ঘমেয়াদে হাই ব্লাড প্রেসার ব্লাড ভেসেলগুলোর ক্ষতি করতে পারে৷ কিডনির কর্মক্ষমতা অক্ষত রাখার জন্য রক্তচাপ ১৪০-৯০ এর বেশি হলে চলবে না৷ রক্তচাপ কম রাখার জন্য দরকার পড়লে ওষুধ খেতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন: কথায় বলে ‘ব্যালেন্সড ডায়েট’, মানে ফলমূল, শাকসবজি, ফাইবার ইত্যাদি খেয়ে ওজন ঠিক রাখা প্রয়োজন৷ বেশি মোটা হওয়ার সঙ্গে রক্তের উচ্চচাপ এবং ডায়াবেটিস উভয়েরই যোগ আছে৷ যতো কম সম্ভব লবণ খাওয়া উচিত, কেননা অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ কিডনির ক্ষতি করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাবেন: শরীর থেকে হানিকর পদার্থ ফিল্টার করে বের করার জন্য কিডনির পানি লাগে৷ কাজেই দিনে দেড় থেকে দু’লিটার পানি খাওয়া উচিত।
ধূমপান ছাড়ুন: ব্লাড ভেসেল-এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ধূমপান৷ এছাড়া সাধারণভাবেই ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
পেইনকিলার বেশিদিন নেবেন না: বহুদিন ধরে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে কিডনির ক্ষতি হয়৷ আগে থেকেই কিডনির ক্ষতি হয়ে থাকলে, বাজারে কেনা যায়, এমন পেইনকিলার নেওয়াটাও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সর্বক্ষেত্রেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
প্রতি বছর কিডনি চেক করান: বিশেষ করে যারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন: যাদের বয়স ষাটের বেশি; যাদের ডায়াবেটিস কিংবা হাই ব্লাড প্রেসার আছে; যাদের মেদ বেশি অথবা যাদের পরিবারের কারও কিডনি ফেইলিওর হয়েছে।