নগ্ন হয়ে ঘুমানোর উপকারিতা
সারাদিন কর্মক্ষেত্রে পরিপাটি পোশাক পরে থাকতে সবাইকে। দিনের শেষে পোশাক পালটে একটু রিল্যাক্স করার চেয়ে বেশি সুখকর যেন আর কিছুই হয় না। কিন্তু বাড়ি ফিরে যে পোশাক বদলান, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কি সেই পোশাক খুলে রাখেন?
এমন প্রশ্নের উত্তরে বেশিরভাগই বললেন, না। কিন্তু গুটিকয়েক দেশের মানুষ নগ্ন হয়ে ঘুমাতে পছন্দ করেন। মার্কিন ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন জানাচ্ছে, মাত্র ১২ শতাংশ আমেরিকান রাতে অন্তর্বাস খুলে ঘুমান। বিজ্ঞান বলছে, নগ্ন হয়ে ঘুমালে শরীর এবং মন দুই-ই ভালো থাকে। জেনে নেওয়া যাক, নিচের অন্তর্বাস খুলে ঘুমানোর কী কী উপকারিতা রয়েছে।
ঘুম ভালো হয় : রাতে ঘুমের সময় মানুষের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে সামান্য নেমে যায়। আবার ঘুম থেকে উঠলে তা বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে, অন্তর্বাস পরে ঘুমালে শরীরের নিচের ভাগের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। বিছানার সঙ্গে অন্তর্বাস ঘষা খাওয়া অথবা ঘুমের সময় পাশ ফেরার কারণে এমনটা হয়ে থাকে। যাতে ঘাম হয় এবং ঘুম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে সকালটা মোটেই ভালো লাগে না। এই কারণেই অন্তর্বাস খুলে ঘুমালে ঘুম ভালো হয়।
বেশি স্বাস্থ্যকর : বর্তমানে অনেকেই এসি ঘরে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত। অতিরিক্ত ঠাণ্ডার মধ্যে ঘুমালে ঘাড়ের কাছে একটি ব্রাউন ফ্যাট জমা হয়। যা দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরিয়ে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু যারা অপেক্ষাকৃত গরম ঘরে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত, তাদের নগ্ন হয়ে ঘুমালেই বেশি ভালো। কারণ এতে শরীরের তাপমাত্রা কম থাকে। অর্থাৎ ক্যালোরি ঝরাতেও এই প্রক্রিয়া সাহায্য করে।
সংক্রমণ দূরে রাখে : মহিলা ও পুরুষ উভয়ই যদি নিচের অন্তর্বাস পরে ঘুমান, সেক্ষেত্রে তা থেকে যৌনাঙ্গে নানা রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। এমন স্পর্শকাতর জায়গায় ব়্যাস, ফুসকুড়ির মতো ইনফেকশন হলে তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। তাই শোওয়ার সময় এসব স্থান সম্পূর্ণ পোশাক মুক্ত রাখাই শ্রেয়।
স্পার্ম সুরক্ষিত রাখে : পুরুষদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ৯৫-৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্বাভাবিকভাবে বীর্য উৎপন্ন হয়। কিন্তু টাইট অন্তর্বাস থাকলে সেই অঙ্গের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ফলে বীর্যের গুণগত ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়। এই কারণে নগ্ন হয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
পার্টনারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা : রাতের অন্ধকারে বিছানায় নগ্ন অবস্থায় পার্টনারের সঙ্গে ঘুমিয়ে যে সুখ, তার পোশাক পরে থাকার সঙ্গে তুলনাই চলে না। গবেষকরা বলছেন, এক শরীরের সঙ্গে অন্য শরীরের স্পর্শে মাথা থেকে অক্সিটোসিন হরমোন অনেকটা মুক্ত হয়। যার ফলে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আর তাতে যে যৌনজীবন আরো সুখের হয়ে ওঠে, তা বলাই বাহুল্য।