পিরিয়ডের ব্যাপারে প্রচলিত কুসংস্কার
প্রতি মাসেই এ ব্যাপারটা মেইনটেইন করতে হয় মেয়েদের। যুগে যুগে নারীরা এ প্রাকৃতিক ব্যাপারটিকে সহ্য করেই এ পর্যন্ত এসেছেন। এতেই থেমে থাকেনি, অন্যান্য প্রাকৃতিক ব্যাপারের মতনই পিরিয়ডের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার। যা হয়তো বিশ্বাস করে বসে আছেন আপনিও! চলুন তবে জেনে আসা যাক প্রচলিত কুসংস্কার গুলো-
পিরিয়ড চলা অবস্থায় ব্যায়াম করা যাবেনা
এটাই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য কুসংস্কার আজ পর্যন্ত। আমরা একবিংশ শতকে এসেও অনেকেই এটি মেনে চলি যে পিরিয়ড চলা অবস্থায় কোন ধরনের শারীরিক ব্যায়াম করা যাবেনা। কিন্তু সত্যি কথা হলো, দৌড়ানো এবং সাইকেল চালানো থেকে শুরু করে সকল ব্যায়াম করা যাবে। শুধু একটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন আপনি যেন কোনভাবেই অসুস্থ না হয়ে পড়েন।
সাঁতার কাটা যাবেনা
এটা বেশ পুরনো একটা যুক্তি যে পিরিয়ড থাকা অবস্থায় সাঁতার কাটা যাবেনা। আজকালকার সচেতন মেয়েরা এতে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করেন। তারা পুরোদমে সাঁতার কাটার অভ্যাস ধরে রাখেন পিরিয়ড চলাকালীন সময়েও।
আপনাকে দেখেই বলে দিতে পারবে আপনার পিরিয়ড চলছে
পিরিয়ডের সময় কোন রকম লিকেজ যদি না হয় তাহলে কারো সাধ্য নেই এটা বলার যে আপনার পিরিয়ড চলছে এখন। সাবধানে থাকুন। হাই-ফ্লো এর জন্য এখন বাজারে অনেক ধরনের প্যাড পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করুন। কাপড় কিংবা তুলা ব্যবহারের কোন যৌক্তিকতা নেই।
আপনার শরীর থেকে অনেক রক্ত চলে যায়
পিরিয়ডের প্রথম কিছু দিন বেশ রক্ত যায় সেটা ঠিক। কিন্তু ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সাধারণত এ সময় নারীদেহ হতে ৬০ মিলি এর মতো রক্ত যায়।
রাতে ঘুমোনোর সময় প্যাড পরা উচিত নয়
এটিও একটি ভ্রান্ত ধারনা। তবে স্যানিটারি ন্যাপকিন ছয় ঘণ্টা অন্তর অন্তর বদলানো উচিত। তা নাহলে ইনফেকশন হওয়ার চান্স থাকে। এ ব্যাপারটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে।
এ সময় শুধু পাশ ফিরে ঘুমানো উচিত
পাশ ফিরে, চিত হয়ে কিংবা উপুড় হয়ে যেভাবে আপনি আরাম বোধ করেন সেভাবেই ঘুমানো উচিত আপনার। পিরিয়ড অবস্থায় নারীরা অনেকটাই আরামপ্রিয় হয়ে যায়। সেদিক মাথায় রেখেই চলাফেরা করা উচিত।
প্রিমেনেস্ট্রুয়াল সিনড্রোম বলতে কিছু নেই
পিরিয়ড হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই আমাদের মানসিকভাবে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। সেটিকে প্রিমেনেস্ট্রুয়াল সিনড্রোম বলে। এটিকে অস্বীকার করার কিছু নেই। এসময়ে মুখে হরমোনাল ব্রণ, শরীর ব্যথা এমনকি স্তনেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে।