নতুন মায়েদের সাহায্য করার উপায়
নতুন মা হওয়া একটি অসাধারণ অনুভূতি কিন্তু এ অনুভূতি কিছুটা অস্বস্তিদায়কও বটে। এ সময় একজন নারী শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ পরিবর্তিত হন। যারা সাম্প্রতিক সময়ে মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন, তাদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার দারুণ কিছু উপায় রয়েছে। চলুন উপায়গুলো জেনে নিই।
তার প্রিয় খাবার উপহার হিসেবে দিন
নতুন মায়েরা বাড়ির বাইরে খুব কম বেরোতে পারেন কারণ পুরো সময়টা সন্তানের পেছনেই ব্যয় করতে হয়। সেজন্য তার হয়তো বাইরে গিয়ে প্রিয় খাবারটা চেখে দেখা হয়না। সেক্ষেত্রে আপনি এক কাজ করুন না, তার প্রিয় খাবার নিয়ে তাকে সারপ্রাইজ দিন। পরমুহূর্তেই দেখবেন তার চোখে-মুখে আনন্দের ঝলকানি।
ঘরের কাজে সাহায্য করুন
যিনি নতুন মা হয়েছেন তাকে সন্তান দেখাশোনার পাশাপাশি ঘর সামলাতে হয়। এক্ষেত্রে আপনি ছোটখাটো কাজে নিঃসন্দেহে তাকে সাহায্য করতে পারেন। বাজার করা, ঘর গোছানো, কাপড় ধোয়া ইত্যাদি একটু করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে দেখবেন আপনার সঙ্গী আনন্দিত হওয়ার পাশাপাশি আপনাদের মধ্যকার ভালোবাসাও বাড়বে।
বাচ্চাকে কিছুক্ষণ দেখাশোনা করুন
বিদেশীরা এটিকে বলে `বেবিসিট` করা। নতুন মায়ের সন্তানকে যদি কিছুক্ষণ দেখে রাখতে পারেন, তাহলে সে সময়ে তিনি তার হাতের জমানো কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন কিংবা ঘরের কাজ করতে পারবেন। যদি উনি কিছুই না করে সামান্য কিছু সময় চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিলেই যথেষ্ট শক্তি অর্জিত হবে, সেটি শারীরিক এবং মানসিক উভয়ভাবেই।
তার কথা শুনুন
একজন নতুন মায়ের অনেক কিছু বলার থাকে। সন্তান জন্মদানের পর সকল আত্মীয় ও বন্ধুরা বাচ্চাকে নিয়েই এতো ব্যস্ত হয়ে যান যে মায়ের দিকে কারোই তাকানোর সময় থাকেনা। এজন্যে বাচ্চাটি যখন ঘুমোবে, তখন তার মায়ের সঙ্গে বসুন। অনেক সময় ধরে মনোযোগ দিয়ে তার কথাগুলো শুনুন। আপনি যখন তার কথায় মন দিবেন তখন তার মধ্যে একটি নির্ভরতা তৈরি হবে। সেটিই দারুণ প্রয়োজনীয়।
কোথাও বেড়ানোর জন্য তাকে দাওয়াত দিন
নতুন মায়ের ও একটু বৈচিত্র্যের দরকার আছে। সেজন্য তাকে পুরো পরিবারসমেত আপনার বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানান। একসাথে রান্না করুন কিংবা বাইরের কোন রেস্তোরাঁ থেকে খাবার আনিয়ে নিন। সবাই একত্রে মিলেমিশে আনন্দ করে খান। দেখবেন তার মানসিক দুশ্চিন্তা একটু হলেও দূর হয়েছে।
তাকে মানসিক প্রশান্তি দান করুন
যেকোন নারীই চান তাকে যেন তার সঙ্গী মানসিক প্রশান্তিতে রাখেন। সেক্ষেত্রে নতুন মা হয়েছেন যিনি তার ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা নিশ্চয়ই একটু বেশি। তাকে সময় দিন। বাইরে একটু ঘুরতে বা খেতে নিয়ে যান। সে সময় সন্তানকে পরিবারের অন্য কারো কাছে রেখে যান। মনে রাখবেন, মানসিক শান্তিতে থাকলেই তিনি তার সন্তানকে ভালোমত গড়ে তুলতে পারবেন।
সর্বোপরি, তার প্রশংসা করুন
আগেই বলা হয়েছে একজন নারীর সন্তান জন্মদানের পর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। তার ওজন বেড়ে যায়, চামড়া কুঁচকে যায়, চেহারা জৌলুস হারায়। এতো সব হওয়া সত্বেও তাকে ভালোবাসুন ও প্রশংসা করুন। এতে করে শুধু আপনি তারই না, বরং তার সন্তানের বেড়ে ওঠাতেও স্বয়ংক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।