কোষ্ঠকাঠিন্যে সমস্যা দূর করবে যেসব ফল
কোষ্ঠকাঠিন্য ভীষণ নাকাল করে দেয় সবাইকেই। যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাটি প্রায়ই হয় এবং ব্যথা ও রক্তপাত হয় তাহলে আপনার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য ২৫-৩০ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে এমন কিছু ফল আছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। চলুন তাহলে সে ফলগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
বেল :
বেল ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। স্টুল নরম হওয়া ও আন্ত্রিক চলন ঠিক রাখার জন্য ল্যাক্সেটিভ উপাদান ব্যবহৃত হয়। দুই দিন অন্তর অন্তর ১ গ্লাস করে বেলের শরবত পান করুন। এটি দীর্ঘ মেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মোকাবিলা করতে পারে এবং পরিপাকেও সাহায্য করে।
কাঁচা পেঁপে :
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনার খাওয়ার মেন্যুতে কাঁচা পেঁপে রাখুন। প্রতিদিন কাঁচা পেঁপে লবণ ও লেবু মিশিয়ে খান। পেঁপের উচ্চমাত্রার ফাইবার এবং শক্তিশালী ডাইজেস্টিভ এনজাইমের মিশ্রণ কোলন পরিস্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। তবে প্রেগন্যান্ট নারীদের কাঁচা পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
জাম ও স্ট্রবেরি :
জাম, স্ট্রবেরি এই ফলগুলো উচ্চমাত্রার ফাইবার সমৃদ্ধ। এক কাপ তাজা স্ট্রবেরিতে ২ গ্রাম ফাইবার থাকে এবং জামে থাকে ৩.৮ গ্রাম ফাইবার। এছারাও এই ফলগুলোর ক্যালরির মাত্রা খুব কম থাকে।
শুকনো ফল :
শুকনো ফল যেমন – খেজুর, ডুমুর, আলুবোখারা, কিশমিশ ইত্যাদিতে ফাইবার থাকে যা কনস্টিপেশন নিরাময়ে সাহায্য করে। বিশেষ করে আলুবোখারায় ফাইবার থাকার পাশাপাশি সরবিটল ও থাকে যা প্রাকৃতিক লেক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। ফাইবারের মত সরবিটল ও এক ধরনের শর্করা যার আনবিক গঠন চিনির মতই। এই ফাইবার হজম হয়না কিন্তু এটি যখন অন্ত্রের ভেতর দিয়ে যায় তখন পানি ধারণ করে। যার ফলে কনস্টিপেশন দূর হতে সাহায্য করে।