৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

লিঙ্গের আকার কিভাবে বড় করা যায়

যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় – “আপনি কি আপনার লিঙ্গ লম্বা করতে চান?” প্রায় সবাই উত্তরে বলবে “অবশ্যই চাই!”
যাই হোক, প্রায় একশত বছরের বেশি সময় ধরে এর জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা অথবা চেষ্টা করেও লিঙ্গের আকার পরিবর্তনে তেমন একটা ভাল ফলাফল আবিষ্কার আসেলেই হয়নি। তবে এটা সত্যযে – বিভিন্ন খাবার বড়ি, ক্রিম, ব্যায়াম, লকিং মেশিন এবং অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে এখন মানুষ তার লিঙ্গের আকার পরিবর্তনের চেষ্ট করে থাকে।

কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাদের কোনটিই হয়তো কার্যকর হয়না। বরং এ রকম চেষ্টার ফলে অনেক পুরুষ লিঙ্গত্থান সমস্যা সহ নানবিধ যৌন জটিলতায় পতিত হন।

ডক্টর মাইকেল ও’লেয়ারী (প্রফেস্যার, হাবর্ড মেডিক্যাল স্কুল। ইউরোলজিষ্ট, ব্রিগহাম এন্ড ওমেন্স হসপিটাল ইন বোষ্টন) বলেন, “বিশ্বাস করুন, আমি যদি জানতাম কি করে নিরাপদে এবং সত্যিকারেই লিঙ্গের আকার বড় করা যায় – তাহলে আমি তা প্রেসক্রাইব করে কোটিপতি হয়ে যেতাম। কিন্তু আমি এটা জানিনা – এমনকি এখনো এ রকম কোন পদ্ধতি আবিষ্কার-ই হয়নি!”।
কত ছোট কে ছোট বলেবেন?

প্রায় অর্ধেক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ মনে করেন তাদের পুরষাঙ্গ অনেক ছোট। বিশ্বজুড়ে সাধারনত উত্তেজিত লিঙ্গের গড় আকার ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি। তবে লিঙ্গের আকার ব্যাক্তি এবং অঞ্চলভেদে অনেক পাথ্যর্ক দেখা যায়। আমাদের দেশ তথা দক্ষিন এশিয়ার পুরুষের জন্য সর্বচ্চো ৬ ইঞ্চি একটি ভাল আকার। বিরল ক্ষেত্রে পারিবারিক (জেনেটিক) এবং হরমোন জনিত সমস্যার কারনে ৩ ইঞ্চির চেয়েও অনেক ছোট লিঙ্গ দেখা যায়। ঔষধ শাস্ত্রে এটি মাইক্রোপেনিস নামে পরিচিত। তবে অনেকের ক্ষেত্রে প্রোষ্টেইট ক্যান্সার অপারেশান সহ নানা রোগের কারনে লিঙ্গের আকার ছোট হয়ে যেতে পারে।

ভুল ধারনা সমুহঃ
– আমাদের মাঝে অনেকেরই একটি ভুল ধারনা আছে যে – অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে লিঙ্গের আকার ছোট হয়ে যায়। এটা মোটেও সত্য নয় । আসলে লিঙ্গ প্রাকিৃতিক ভাবে ছোট বা বড় হয়ে যেতে পারেনা। এটি শুধু উত্তেজনার সময় পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে আকার পরিবর্তন করে।

অনেক পুরুষ কিংবা নারী পর্ন ফিল্ম দেখে লিঙ্গের আকার এবং মিলেনের সময় নিয়ে নিজের মধ্যে একপ্রকার নেগেটিভ ধারনা করে রাখে। সত্যিকার অর্থে ছবিতে নায়ক তারাই হয় যারা অন্যদের তুলনায় হ্যান্ডসাম হয়। পর্নষ্টারও তার ব্যতিক্রম নয়। পর্নগ্রাফিতে ক্যামেরা এমন এঙ্গেল এ ধরা হয় যাতে ভিজ্যুয়ালী লিঙ্গকে বড় দেখা যায়। উদাহরন স্বরুপ আপনি যদি কোন একটি উচু স্থানে থেকে নিচে দাড়ানো আপনার কোন বন্ধুর ছবি তোলেন তাহলে তাকে খাটো দেখাবে। তেমনি যদি আপিনি মাটিতে বসে কিছুটা উপরে দাড়ানে অবস্থায় আপনার বন্ধুর ছবি তোলেন তাহলে একই ব্যাক্তিকে অনেক লম্বা দেখাবে। আর সে জন্যই আমরা যখন মাথা নিচু করে আমাদের নিজের লিঙ্গ দেখতে যাই তখন ভিজ্যুয়াল ইল্যুশানের কারনে আমাদের লিঙ্গের আকার প্রকৃত আকারের চেয়ে ছোট দেখা যায়।

এখানে এ বিষয়টি বলে রাখতে চাই – পর্ন ফিল্মে আমরা দেখি একই যুগল ২০/২৫ মিনিট মিলন করছেন। সত্যিকার অর্থে তাদের এই ২০ মিনিট এর মিলন দৃশ্যের শুটিং হয়েছে ২/৩ দিন ধরে। তাদের অনেকবারের মিলনের দৃষ্টিনন্দন অংশগুলো ভিডিও এ্যাডিটে কাট-ছাট করে একটি ক্লিপ বাজারে আসে। তাই পর্ন ফিল্ম দেখে আকার এবং মিলনের সময় নিয়ে আমাদের হতাশ হবার অবকাশ নেই।

যৌন তৃপ্তির জন্য আকার মুল বিষয় নয়। প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে মিলনে এবং সিঙারে আপনার কারুময়তা। আপনি যত বেশি সৃষ্টিশীল পদ্ধতিতে নারীকে “অন” করবেন সে তত বেশি আপনার পার্সোনলিটির প্রতি আবেগী হবে।

আমাদের নারী ফ্যানদের বলছি: নারীর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয় হল – মিলনকালে পেনিট্রেশান (যোনীতে লিঙ্গ প্রবেশ করানো) থেকে সর্ব আনন্দ নিতে হবে তা নয় (শুধু পেনিট্রেশানে কোন পুরুষই নারীকে তৃপ্ত করতে পরেনা) বরং সিঙার (ফোর প্লে) বস্ত্র হরন সহ সকল বিষরের সংমিশ্রনে যৌন মিলনেরে যে প্যাকেজ তা থেকে পরিপুর্ন তৃপ্তি অর্জন সম্ভব। এর জন্য আপনার সঙ্গীর ভাললাগা, তার শরীরের কোন অংশ অতি সংবেদনশীল তা আবিষ্কার করা, যৌন আসনের পরিবর্তন করে যে আসন সর্বচ্চো কার্যকর তা জানার পর যে কোন যুগল সহজে তাদের শাররীক কাম আগুন নিভাতে সক্ষম হবেন। তাই সম্পর্ক যত পুরোনো – পুর্নতৃপ্তির পরিমানও বেশি হয়। শাররীক মিলন একটি শিল্প – এটা রপ্ত করুন। আপনার নিজের জন্য এবং আপনার সঙ্গীর জন্য।

কিছু পদ্ধতি এবং তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
শরীরের মেদ কমানোঃ “অনেক পুরুষ যারা ভাবে তাদের পুরুষাঙ্গ স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট – তাদের মেদ সমস্যা আছে” – জেনিফার বর্মন, এমডি, ইউরোলজিষ্ট।
পুরুষের মেদ বাড়ার সাথে সাথে শরীরের ওজন কমালে তলপেটে লুকিয়ে থাকা আপনার লিঙ্গ কিছুটা বড় দেখাবে তবে এটি আপনার লিঙ্গের প্রাকৃতিক আকারকে পরিবর্তন করবে না।

ক্রিম, ঔষধ এবং যন্ত্রঃ
ভ্যাকুয়াম পাম্পঃ এটি একটি সিলিন্ডারের মত যন্ত্র যা হাওয়া টেনে নেয়। এটি লিঙ্গে স্থাপন করে হাওয়া টেনে লিঙ্গের ভিতর অতিরিক্ত রক্ত জমা করে এবং তার পর একটি রিং দিয়ে লিঙ্গের গোড়ার দিকে বেধেঁ দেওয়া হয় যাতে রক্ত শরীরে ফিরত না যেতে পারে। এর ফলাফল শুধু মাত্র রিংটি খুলে পেলার আগ পর্যন্ত থাকে। এটি যদি ২০ থেকে ৩০ মিনিটের অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয় তাহলে লিঙ্গের টিস্যু নষ্ট হয়ে যাবার প্রচুর সম্ভাবনা থাকে।
লিঙ্গের সাথে ওজন ঝুলানোঃ এই পদ্ধতি লিঙ্গের তত একটা আকার পরিবর্তন করেনা – কারন এটি কোন পেশী নয়। তবে এ পদ্ধতিতে আপনি প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে ৬ মাস ওজন বেধে রাখলে আধা ইঞ্চির মত আকার বাড়বে। সাথে টিস্যু ছিড়ে যাবার সম্ভাবনা সহ রক্ত প্রবাহী শিরা নানবিদ সমস্যার সম্মুক্ষিন হতে পারে।
ঔষধ, ক্রিম ইত্যাদিঃ এগুলো কিছুই কাজ করেনা। এটি শুধুমাত্র চটকদার বিজ্ঞাপনের মাঝে সীমাবদ্ধ। বাস্তবে এটি লিঙ্গের আকারে কোন পরিবর্তন আনতে পারেনা।
অস্ত্রপ্রচারঃ পশ্চিমা বিশ্বে অনেকে অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে তাদের যৌনাঙ্গের পরিবর্তন করেন। সাধারনত লিঙ্গের জন্য দুই ধরনের অস্ত্রপ্রচার হয়ে থাকে –

১. লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর জন্যঃ এরজন্য প্রচলিত পদ্ধতি হচ্ছে পিলবিক হাড়ের সাথে লিঙ্গের সন্ধিবন্ধনী কেটে দেয়া। এর ফলে লিঙ্গ এক ইঞ্চির কিছুটা কম শরীর থেকে কিছুটা বাহিরে প্রতিয়মান হয়। তবে এটি লিঙ্গকে অতটা বাহিরে আনেনা যতটা সুপ্ত অবস্থায় লিঙ্গ লুকানো থাকে। এই অপারেশানের পর সন্ধিবন্ধনী যেন পুনরায় জোড়া না লেগে যায় সেজন্য ছয় মাসের মত ওজন ঝুলানো অথবা স্ট্রেসিং যন্ত্র প্রতিদিন ব্যবহার করতে হয়।

২. লিঙ্গের প্রস্থ (পুরুত্ব) বাড়ানোর জন্যঃ যেসকল পুরুষের লিঙ্গ মাত্রাতিরিক্ত চিকন – তারা অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে ইমপ্লান্টেড চর্বি, সিলিকন বা টিস্যু গ্রাফট এর মাধ্যমে লিঙ্গের পুরুত্ব বর্ধন করে থাকে। (চিত্র ৩ এর দ্রষ্টব্য)।

উভয় প্রকার অস্ত্রপ্রচারে প্রায় বিশ মিনিট সময় লাগে। বর্তমান সময়ে অত্যাধুনিক চিকিৎসা যন্ত্র থাকার কারনে আগের তুলনায় এর ঝুঁকি অনেক কমেছে। তবে সবার ক্ষেত্রে এর সফলতা পাওয়া গেছে এমনটিও নয়।

এতক্ষন যা শুনলেন তাতে হয়তো অনেকে হতাশ হয়ে গেছেন। না হতাশ হবার কিছু নেই। চেষ্টা করতে দোষকি? আকার বাড়ুক আর নাই বাড়ুক মানসিক প্রশান্তিতো আসবে নিশ্চিত। নিচে কিছু প্রচলিত ব্যায়াম পদ্ধতি উল্ল্যেখ করলাম – পছন্দসই ব্যায়ামটি আজই শুরু করে দিতে পারেন।

জিলকিং এক্সেরসাইজ :
ব্যায়াম / পদ্ধতি ০১:

এটি এমন একটি পদ্ধতি যাতে লিঙ্গের ইরিকট্যাল টিস্যুতে রক্ত ধারন ক্ষমতা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পায়। লিঙ্গের টিস্যুতে পরিমান মত রক্ত সঞ্চালন লিঙ্গকে দৃড় এবং আকারে বড় করে। এখানে বলে রাখি, যাদের লিঙ্গে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা আছে তারাই লিঙ্গত্থান সমস্যার শিকার হন। মুলত লিঙ্গের আকার পরিবর্তনের পদ্ধতিগুলোর মাঝে জিলকিং পদ্ধতিটি বিশ্বজুড়ে সবছে বেশি জনপ্রিয়।

তবে নিচের যেকোন ব্যায়াম করার সময় যৌন বিষয়ক চিন্তা থেকে বিরত থাকবেন। অবশ্যই অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন কোন ভাবেই আপনার বীর্যস্থলন হয়ে না যায়। যদি মনে হচ্ছে কামরস এসে যাচ্ছে, তাহলে লিঙ্গ নাড়াচাড়া না করে কিছুক্ষন অন্যমনস্ক থাকুন।

কিভাবে করবেন?
১. টয়লেট কিংবা আপনার নিজের রুমের দরজা ভাল করে বন্ধ করে চেয়ার কিংবা চৌকিতে পা ঝুলিয়ে বসুন। অর্থাৎ এমন স্থানে বসবেন না যেখানে সবসময় মনে হবে কেউ এসে যাচ্ছে অথবা দেখে পেলছে।

২. পরনের কাপড় সরিয়ে আপনার লিঙ্গকে হালকা উত্তেজিত করুন। (এমন ভাবে উত্তেজিত করবেন না যাতে বীর্জ বেরিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে)।

৩. এবার দুই হাতে হালকা সরিষার তেল কিংবা পার্সোনাল লুব (ঔষধের দোকানে পাওয়া যাবে) লাগিয়ে নিন।

৪. আপনার বৃদ্ধাঙ্গুল এবং তর্জনী আঙ্গুল এর আগা একে অপরের সাথে এমনভাবে যুক্ত করুন যাতে মাঝে গোলাকার (যেভাবে আমরা ok sign ইশারা করি) ছিদ্রের মত হয়। এবার এই রকম হাতে লিঙ্গের গোড়ার দিক থেকে লিঙ্গের গা ঘেষে (ছিপে ধরে) লিঙ্গের আগার দিকে হাত সঞ্চালন করুন (যেভাবে গরুর দুধ ধোওয়া হয় অথবা কোন ফাপা নল থেকে সবটুকু তরল বের করার জন্য আমরা যেভাবে গোড়া থেকে আগার দিকে হাত ছালাই)। ডান হাত যখন লিঙ্গের আগার কাছাকাছি যাবে তখন বাম হাত একই ভাবে গোড়া থেকে শুরু করে আগার দিকে নিয়ে যান। এক হাতের একবার করে সঞ্চালন করাকে আমরা এক রিপিট গননা করবো।

৫. ব্যায়াম শুরুর প্রথম পাঁচ দিন ৪০ বার রিপিট করবেন। >> ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম দিন আরো ৪০ রিপিট বাড়াবেন, অর্থাৎ ৮০ প্রতিদিন ৮০ বার করে। >>> ১১তম থেকে ১৫তম দিন ১২০ বার করে। >>>> ১৬তম থেকে ২০তম দিন ১৬০ বার করে। >>>> ২১তম দিন থেকে পরবর্তী দিনগুলো সর্বনিম্ন প্রতিদিন ২০০ বার এ ব্যায়াম করতে হবে। আনুমানিক ২ মাস এ ব্যায়াম সপ্তাহে ৬ দিন (একদিন সাপ্তাহিক বিরতী দিতে হবে) করে করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

ব্যায়াম / পদ্ধতি ০২:
কিভাবে করবেন?
এ পদ্ধতিটি অনেকটা আগের পদ্ধতির মতই। তবে পার্থক্য হল এ পদ্ধতিটিতে গোড়া থেকে আগার দিকে গিয়ে লিঙ্গের মাথায় গিয়ে কিছুক্ষন (৬/৭ সেকেন্ড) চেপে ধরে রাখতে হবে –

১. টয়লেট কিংবা আপনার নিজের রুমের দরজা ভাল করে বন্ধ করে চেয়ার কিংবা চৌকিতে পা ঝুলিয়ে বসুন। অর্থাৎ এমন স্থানে বসবেন না যেখানে সবসময় মনে হবে কেউ এসে যাচ্ছে অথবা দেখে পেলছে।

২. পরনের কাপড় সরিয়ে আপনার লিঙ্গকে হালকা উত্তেজিত করুন। (এমন ভাবে উত্তেজিত করবেন না যাতে বীর্জ বেরিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে)।

৩. এবার দুই হাতে হালকা সরিষার তেল কিংবা পার্সোনাল লুব (ঔষধের দোকানে পাওয়া যাবে) লাগিয়ে নিন।

৪. আপনার বৃদ্ধাঙ্গুল এবং তর্জনী আঙ্গুল এর আগা একে অপরের সাথে এমনভাবে যুক্ত করুন যাতে মাঝে গোলাকার (যেভাবে আমরা ok sign ইশারা করি) ছিদ্রের মত হয়। এবার এই রকম হাতে লিঙ্গের গোড়ার দিক থেকে লিঙ্গের গা ঘেষে (ছিপে ধরে) লিঙ্গের আগার দিকে হাত সঞ্চালন করুন (যেভাবে গরুর দুধ ধোওয়া হয় অথবা কোন ফাপা নল থেকে সবটুকু তরল বের করার জন্য আমরা যেভাবে গোড়া থেকে আগার দিকে হাত ছালাই)।

৫. লিঙ্গের আগার কাছাকছি হাত পৌছালে লিঙ্গকে কিছুক্ষন চেপে ধরে রাখুন। তারপর ডান হাত ছেড়ে দিয়ে বাম হাত একই ভাবে গোড়া থেকে শুরু করে আগার দিকে নিয়ে যান। এবং এই হাতটিও কিছুক্ষনের জন্য অগ্রভাগে ধরে রাখুন। এক হাতের একবার করে সঞ্চালন করাকে আমরা এক রিপিট গননা করবো।

৬. ব্যায়ামটি প্রতিদিন ৪০ বার রিপিট করবেন।

ঝাকুনী পদ্ধতিঃ
এ পদ্ধতিও জিলকিং পদ্ধতির মত লিঙ্গের টিস্যুতে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
কিভাবে করবেন?
১. লিঙ্গকে কিছুটা উত্তেজিত করুন। (৩০ থেকে ৪০ % উত্তেজনা এ ব্যায়ামের জন্য ভাল)।
২. লিঙ্গের গোড়ার দিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী ও তর্জনী দিয়ে আংটা (রিং) বানিয়ে চেপে ধরুন।
৩. এবার লিঙ্গকে গোড়ালী থেকে ঝাকুনি দিন (যেভাবে স্কুলের শিক্ষকরা বেত দিয়ে পিটান ঠিক সেই রকম ভাবে হাওয়ায় লিঙ্গকে ঝাকুনি দিন)।
৪. ব্যায়ামটি প্রতিদিন ৪০ বার রিপিট করবেন।

পরিশিষ্টঃ
সমীক্ষা মতে প্রায় সব মহিলারা তাদের পুরুষ সঙ্গির প্রেম-অঙ্গ নিয়ে পরিতৃপ্ত। তাই অযথা চিন্তা আর হাতুড়ে ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়ে পয়সা নষ্ট ও দুশ্চিন্তা বাড়ানো থেকে বিরত থাকুন। পরীক্ষায় প্রমানীত হয়েছে নারীদের যৌন তৃপ্তির জন্য মাত্র ৭.৪ সেঃমিঃ অর্থৎ ৩ ইঞ্চি লম্বা লিঙ্গ যথেষ্ট। (কারন নারীর জি-স্পট যৌনাঙ্গের সর্বচ্চ ৫ সেঃমিঃ ভিতরে অবস্থিত)।

যৌন আনন্দ দানের জন্য আকার নয় – আপনার মিলন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনুন। বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক দিক যেমন স্বামী-স্ত্রীর সাংসারিক সু-সম্পর্ক তৈরি করুন। স্ত্রীকে তার ঘরের কাজে সাহায্য করুন। যে পুরুষ স্ত্রীকে ঘরের কাজে সাহায্য করে তার সাথে যৌন মিলনে অন্য যুগলের চেয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। আমাদের দেশের নরীরা ওতটা উচ্চাভিলাসী নয়। আপনি তাকে খুশি করার জন্য সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড নিতে হবেনা। সে আপনার সাথে ফেন্টসী কিংডম, কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটায় গিয়ে তার আবেগের প্রবলতায় আপনার প্রতি অন্ধ মোহে জড়াবে। ভালবাসার শক্তিকে কাজে লাগান। নিজের আকার নিয়ে চিন্তিত হবার কোন অবকাশ রাখবেন না।

Comments

comments