পাতার রসে কিডনির পাথর গলে বেরিয়ে আসে!
পাতার এমন গুণ যে, পাতার রসে কিডনির পাথর গলে বেরিয়ে আসে! কথাটি বিস্ময়কর মনে হলেও সত্যি। আজ রয়েছে এমন বিস্ময়কর কয়েকটি গুণাগুণের কথা।
এসব পাতার মধ্যে অন্যতম হলো তুলসী। এটি আমাদের সবার পরিচিত একটি ঔষধিগাছ। এই গাছের পাতায় বহু রোগ সারানোর উপকারিতা বিদ্যমান। তুলসী পাতার রস কিংবা চা প্রতিদিন একগ্লাস করে পান করলে, আমাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার আশংকা একেবারেই কমে যায়। যদি কিডনিতে পাথর জমে তাহলে তুলসী পাতার রস টানা ৬ মাস পান করলে সেই পাথর এক সময় গলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে!
তাছাড়াও সর্দি, কাশি, কৃমি, প্রস্রাবে জ্বালা কমায়, হজমকারক এবং কফ গলাতে দারুন উপকারী এই তুলসী পাতা। এটি ক্ষত সারাতেও এন্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে। কোথাও কেটে গেলে সেখানে এটি বেটে দিয়ে দিলে ক্ষত সারে।
তুলসিপাতা দিয়ে চা ও মিশ্রণ তৈরির প্রণালী:
তুলসী পানি
উপকরণ: দুই কাপ পানি এবং কয়েকটি পাতা।
প্রস্তুত করবেন যেভাবে: প্রথমে একটি পাত্রে দুই কাপ পানি নিন। তারসঙ্গে কয়েকটি তুলসিপাতা সিদ্ধ করুন। এটি ফুটে উঠলে নামিয়ে পান করতে পারেন। এই মিশ্রণটি গলা ব্যথা এবং খুসখুসে কাশি কমিয়ে আপনাকে খুব আরাম দেবে।
তুলসী-চা
যা যা লাগবে: ১০-১৫টি তুলসীপাতা, গুড়, পানি এবং লেবুর রস।
প্রস্তুত করবনে যেভাবে: প্রথমে গুড় ও তুলসীপাতা ভালো করে বেটে নিন। এখন এরমধ্যে দেড় কাপ পানি এবং এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। মিশ্রণটি ফুটে উঠলে নামিয়ে ফেলুন। এই চা পান করলে আপনার শরীর বেশ উষ্ণ থাকবে।
ভেষজ তুলসী-চা এর ব্যবহার
যা যা লাগবে: এক টুকরো আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, তুলসীপাতা, দারুচিনি এবং এলাচ নিন পরিমাণ মতো।
যেভাবে বানাবেন: পরিমাণমতো পানিতে উপরের উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে জ্বাল দিন। ১০ মিনিট পর নামিয়ে ছেকে তা পান করতে পারেন।
এই ভেষজ তুলসী-চা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেবে এবং ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগ হতে বাঁচানোর ক্ষমতা রাখে এটি।
তুলসীপাতার হার্বাল জুস
যা যা লাগবে: আজওয়াইন, তুলসীপাতা, জিরা, আমচুর গুঁড়া, লবণ ও পুদিনা পাতা পরিমাণ মতো।
কিভাবে বানাবেন: চার কাপ পানিতে উপরের উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে ১০/১৫ মিনিট জ্বাল দিন। তারপর পান করুন। এই জুস প্রতিদিন পান করেল হজমশক্তি বাড়বে, আবার পানিশূন্যতা হতেও আপনি রক্ষা পাবেন।