৪টি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন শরীর বিষে ভরে গেছে
প্রতিদিনই নিজেদের অজান্তে খাদ্যের সঙ্গে গ্রহণ করে চলেছি নানা ধরনের বিষ। বিভিন্ন শাকসবজির চাষে ব্যবহার হচ্ছে কীটনাশক, বাজারে তা বিক্রির সময়ে প্রয়োগ করা হচ্ছে কৃত্রিম রং। এগুলোর কুপ্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরে। এছাড়াও নানা ধরনের খাবার তৈরি করার সময় মসলা বা অন্য কোনো উপাদান প্রয়োগ করা হচ্ছে নির্ধারিত মাত্রার চেয়েও বেশি।
এসব প্রক্রিয়ার বিষ আমাদের শরীর মিশে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে আপনার শরীরে বিষের পরিমাণ বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে? সম্প্রতি টরন্টো মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত একটি জার্নালে উত্তর দেওয়া হয়েছে এই প্রশ্নের। ওই জার্নালের অন্তর্ভুক্ত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মোটামুটিভাবে ৪টি লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে যে, শরীরে বিষের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে গিয়েছে। কী ধরনের লক্ষণ সেগুলো-
১) বার বার টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করা : শরীরে যদি বিষাক্ত উপাদান বা টক্সিনের মাত্রাধিক্য ঘটে তাহলে মানবদেহ তার স্বাভাবিক প্রতিরোধ প্রক্রিয়ায় সেই সব টক্সিনকে মলের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কাজেই যদি দেখেন হঠাৎ করে ঘন ঘন টয়লেট যাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছেন, তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বেশি করে পানি ও পানিয় পদার্থ খান। খাদ্য তালিকায় প্রোবায়োটিক খাবারের পরিমাণ বাড়ান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।
২) নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ : আপনার পাকস্থলী এবং লিভার যদি টক্সিনের সঙ্গে ঠিকমতো বুঝে উঠতে না পারে তাহলে আপনার মুখের ভেতর দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জমবে এবং মুখে দুর্গন্ধের কারণ ঘটাবে। নিয়মিত জিভ ছোলা কিংবা পুদিনা পাতা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে সাময়িক মুক্তি দেবে ঠিকই, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ডাক্তারের দ্বারস্থ হওয়াই যুক্তিযুক্ত।
৩) যে কোনো রকম গন্ধে অস্বস্তি বোধ করা : পারফিউম, ধোঁয়া কিংবা কোনো কড়া গন্ধে কি আপনি অস্বস্তি বোধ করছেন? মাথা ভার লাগছে গন্ধের চোটে? শরীরে টক্সিনের মাত্রাধিক্যের কারণে এটা হতে পারে। শরীরে বিষাক্ত উপাদান বেড়ে গেলে শ্বাসনালীর পরিধি হ্রাস পায় এবং তা অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ফলে যে কোনো রকম কড়া গন্ধেই অস্বস্তি বোধ হয়। এমনটা ঘটলে অবিলম্বে ডাক্তারের দ্বারস্থ হন।
৪) কিছুতেই ওজন কমাতে না পারা : ডায়েটিং কিংবা এক্সারসাইজ সত্ত্বেও কমছে না ওজন? শরীরে টক্সিনের মাত্রাধিক্যের লক্ষণ হতে পারে এটি। মানবদেহে বিষাক্ত উপাদানের পরিমাণ বেড়ে গেলে হরমোনগ্রন্থিগুলো যথাযথ কাজ করে না এবং স্বাস্থ্যকর খাবার দাবারও চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কাজেই অনেক চেষ্টা করেও যদি না কমে ওজন, ডাক্তারের পরামর্শ নিন।