যারা কর্মস্থলে দীর্ঘসময় বসে থাকেন তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে বেশি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

নতুন এক গবেষণায় গবেষকরা জানিয়েছেন, “দিনে অল্প সময় বসে থাকলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি সেভাবে বাড়বে না। কিন্তু তা যদি দীর্ঘ সময়ব্যাপী হয় তাহলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদি দৈনিক ১০ ঘণ্টা কিংবা তার বেশি সময় চেয়ারে আরাম করে বসে থাকেন তাহলেই বেড়ে যাবে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি। এ অবস্থায় এমনকি আপনার হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে আট শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে হৃদরোগের সম্ভাবনা “

এ বিষয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে পুরনো বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে। এতে গবেষকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার পেছনে দীর্ঘক্ষণ আরাম করে বসে থাকার মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।

এ বিষয়ে গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের সাউথওয়েস্টার্ন মেডিকেল সেন্টারের গবেষক ড. আম্ব্রারিশ পাণ্ডে বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে বসে থাকার সময়টির সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকির নেতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বডিম্যাস ইনডেক্স ও শারীরিক কার্যক্রমের ঘাটতি। তবে এটি উচ্চমাত্রায় হলেই রোগের ঝুঁকি বাড়ে।”

তবে কতক্ষণ চেয়ারে বসে থাকা নিরাপদ গবেষকরা তা জানাননি। তবে তারা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত পরিশ্রম ও বসে থাকার সময় কমিয়ে আনার জন্য বলছেন।

এ বিষয়ে গবেষণাটির জন্য সাত লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির তথ্য বিশ্লেষণ করেন গবেষকরা। এতে তাদের শারীরিক বিভিন্ন মাপকাঠি, টিভি দেখা ও গাড়ি চালানোর সময়, স্বাস্থ্য, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের পরিসংখ্যান এবং অলস বসে থাকার সময় বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন।

গবেষণাটি পরিচালিত হয় দীর্ঘদিন যাবত। অংশগ্রহণকারী অর্ধেক ব্যক্তিকে প্রায় ১১ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে দেখা যায় তাদের মাঝে ২৫,৭৬৯ ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়।

গবেষকরা জানান, “যারা দিনে ১২ ঘণ্টা বসে কাটান তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে যারা কিছুটা হলেও শারীরিক অনুশীলন করে তাদের এ ঝুঁকি কমে যায়। গবেষকরা আরো জানাচ্ছেন, যারা দিনে ১০ ঘণ্টা আরাম করে বসে থাকে তাদের এ ঝুঁকি বাড়তে থাকে।–ফক্স নিউজ।