ভোরের ঠাণ্ডা বাতাস জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। শীতের শুরুতে জ্বর, ঠাণ্ডায় সবাই কম বেশি আক্রান্ত হয়। জ্বর সাধারণত ভাল হলেও কাশি সহজে ভাল হয় না। বিরক্তিকর এবং কষ্টদায়ক এই খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি পেতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে। ওষুধ না খেয়েও খুসখুসে কাশি কমিয়ে ফেলতে পারবেন এসব প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করে। আজকের ফিচারে থেকে জেনে নিন ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে খুসখুসে কাশি দূর করবেন

এক চা চামচ করে হলুদে এবং গোলমরিচের গুঁড়ো আধকাপ পানিতে জ্বাল দিন। অল্পক্ষণ বাদে এতে একটি লবঙ্গ দিয়ে আরও দুই মিনিট জ্বাল দিন। প্রতিদিন এটি পান করার আগে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।

শুষ্ক কাশি? এর জন্য মধু যথেষ্ট কার্যকর। প্রতিদিন ১-৩ বার বিশুদ্ধ মধু গ্রহণ করুন এক টেবিল চামচ করে। সবচেয়ে ভাল হয় ঘুমুনোর আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিলে। মধুর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান কাশি প্রতিরোধে কার্যকর।

এক কাপ পানিতে সমপরিমাণ হলুদের গুঁড়ো এবং মৌরি দিয়ে হারবাল চা বানিয়ে দিনে তিনবার করে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।

রসুনে থাকা এক্সপেকটোরেন্ট এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কাশি উপশমে কাজে দেয়। University of Maryland Medical Center cites এর মতে কাশি উপশমে রসুন অবশ্যই কার্যকর। এক চা চামচ ঘিয়ে রসুনের পাঁচটি কোয়া কুচি করে হালকা ভেজে কুসুম গরম অবস্থায় খেয়ে নিন।

খুসখুসে কাশি দূর করতে পেঁয়াজ খুবই কার্যকর। আধচামচ পেঁয়াজের রস এবং এক চা চামচ মধু এক সাথে মিশিয়ে দিনে দু’বার করে পান করুন। পেঁয়াজের ঝাঁজ খুসখুসে কাশি কমাতে সহায়তা করবে।

আদার অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান গলার অস্বস্তিকর ভাব দূর করে। রাতে ঘুমুনোর আগে এক কাপ আদা চা পান করতে পারেন। আদা চায়ের বদলে এই পানীয়টি পান করতে পারেন। এক কাপ পানিতে আদা কুচি জ্বাল দিয়ে দিনে ৩-৪ বার পান করে দেখুন, শুষ্ক কাশি কমে গেছে। এছাড়া এক গ্লাস পানিতে কিছু আদা কুচি জ্বাল দিয়েও পান করা যেতে পারে।

খুসখুসে কাশির সমস্যা থাকলে ঠাণ্ডা বাতাস থেকে দূরে থাকুন। খুসখুসে কাশিতে আক্রান্ত হলে ধূমপানকে না বলুন।