জিমে গিয়ে কসরত করার সময় হচ্ছে না। বাড়িতেও রোজ গা ঘামানো হয়ে উঠছে না। এদিকে ভুঁড়ির শ্রীবৃদ্ধি রোজই লক্ষ করে চিন্তামগ্ন হয়ে পড়ছেন। তাহলে শুরু করুন খুবই নির্ঝঞ্ঝাট একটি এক্সারসাইজ। নাম হামাগুড়ি। শিশু অবস্থায় দিয়েছেন। আবার দিন। ফিট থাকতে। কয়েক মিনিটের হামাগুড়ি ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ওয়ার্কআউটের সমান।

বিশ্বের তাবড় ফিটনেস এক্সপার্টরা হামাগুড়িকে ফিট থাকার দুরন্ত উপায় তকমা দিচ্ছেন। ফিটনেস এক্সপার্ট ও ব্যালেন্স ফেস্টিভ্যাল অ্যাম্বাসেডর অ্যাশলে হান্ট-এর কথায়, `হামাগুড়ির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রীতিমতো ক্লাস নেওয়া চলছে। মানুষ উপকৃতও হচ্ছেন।`

মেইন স্ট্রিম ওয়ার্কআউটগুলোর মধ্যে ঢুকে পড়েছে হামাগুড়ি। ফিট ও নির্মেদ থাকতে বাড়িতে কীভাবে হামাগুড়ি ওয়ার্কআউট করবেন?

বিখ্যাত ফিটনেস এক্সপার্ট অ্যালি গ্রে জানাচ্ছেন, মাটিতে উপুড় হয়ে হাতকে সামনের দিকে রাখুন। হাত থাকবে সোজাসুজি কাঁধের নীচে। হাঁটু মাটিতে থাকবে। পশ্চাতদেশ মেঝে থেকে উপরে সমান্তরাল থাকবে।

এবার ধীরে ধীরে এগোতে থাকুন। অনেকটা ভাল্লুকের মতো।

শিরদাঁড়াকে মেঝের সঙ্গে সমান্তরাল রাখুন। এবার হাত ও পা একসঙ্গে ওগোতে থাকুন। বেড়াল যেভাবে শিকার ধরতে এগোয়।

এভাবেই খানিক্ষণ করার পর পেছনের দিকে হাঁটতে থাকুন। মনে রাখবেন, একটা নরম কিছুর উপর এই ওয়ার্কআউট করা ভালো। নাহলে কনুই ও হাঁটুতে চোট লাগার সম্ভাবনা থাকে।

এই ভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট করলেই ফলটা বুঝতে পারবেন। আর কোনও ওয়ার্কআউটের প্রয়োজন নেই। তবে আর্থরাইটিসের রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই ওয়ার্কআউট করবেন।