ওজন কমাতে এড়িয়ে চলুন ৫ ভুল নিয়ম
মোটা হয়ে যাওয়া এবং ওজন কমাতে না পারার মতো সমস্যা আমাদের যতটা চিন্তিত রাখে আর কোনো সমস্যা বোধহয় এতটা মাথায় চেপে বসে না। আর এর ফলেই আমরা নিয়ে ফেলি ভুলভাল কিছু সিদ্ধান্ত।
কখনও লক্ষ্য স্থির করি সপ্তাহে তিন কেজি কমিয়ে ফেলতে হবে, তো কখনও ভেবে বসি রোগা হয়ে সকলকে চমকে দিতে হবে। নিজেরাই ঠিক করে ফেলি ওয়েট লস স্ট্র্যাটেজি। যা বেশির ভাগ সময়ই বাস্তবসম্মত হয় না। জেনে নিন এমনই ৫ ভুল স্ট্র্যাটেজি।
ডায়েট:
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
ওজন কমানোর ভূত মাথায় চাপলে অনেকেই একদিনে হঠাৎ পুরো ডায়েট বদলে ফেলেন। এভাবে হঠাৎ বদলে ফেললে শরীর মানিয়ে নিতে পারে না। তাতে হিতে বিপরীত ফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ওয়েট লস সাপ্লিমেন্ট:
ওজন কমানোর জন্য ওয়েট সাপ্লিমেন্টের ওপর ভরসা রাখেন অনেকেই। কারণ এতে তাড়াতাড়ি ওজন কমে। কিন্তু সাপ্লিমেন্ট শরীরে মেদ ঝরানো নয়, পেশীর জোর কমিয়ে দেয়।
দ্য গ্রেট লুজার:
অনেকেই এক সপ্তাহে ওজম কমিয়ে একেবারে বাজিমাত করে সকলকে চমকে দিতে চান। এই স্ট্র্যাটেজি নিলে কিন্তু ক্র্যাশ ডায়েটের দিকে চলে যাবেন। ছোট ছোট লক্ষ্য রাখুন। প্রতিদিনের ক্যালরি কমাতে চেষ্টা করুন। সপ্তাহে ১-২ পাউন্ড ওজন ঝরানোর লক্ষ্য তৈরি করুন।
জিম:
ওজন কমানো ও সঠিক ওজন ধরে রাখার জন্য ওয়ার্কআউট করা প্রয়োজন। তবে শুধু জিমে গিয়ে অতিরিক্ত ওয়ার্কআউট করলে পেশীরও ক্ষতি হবে। পরিমিত ডায়েটের সঙ্গে ওয়ার্কআউট ওজনও কম রাখবে, পেশীর জোরও বাড়াবে।
ধৈর্য:
অনেক দিন ডায়েট করেও ঠিক যতটা ওজন কমাতে চাইছেন ততটা না কমলে অনেকেই অধৈর্য হয়ে হাল ছেড়ে দেন। বাস্তবাবদী হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যদি আপনার ওবেসিটি থাক তাহলে ১০ শতাংশ ওজন কমলেও আপনার চেহারায় পরিবর্তন আসবে।
সেই সঙ্গে রক্তচাপ কমে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে। তাই শুধু স্লিম অ্যান্ড ট্রিম হওয়া মাথায় না রেখে সামগ্রিক ফলাফলে নজর দিন।