বুদ্ধিমান সন্তানের মা হওয়ার উপায়
সকলেই চান তার সন্তান যেন সুস্থ ও বুদ্ধিমান হয়। কিন্ত, একটি শিশুর ‘ইনটেলিজেন্ট’ হওয়া বা না-হওয়া অনেকটাই নির্ভর করে তার জিন-এর উপর।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কথা অনুসারে- একটি শিশু যে জিন নিয়ে জন্মায়, সেটাই তার বুদ্ধিমত্তা ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মূল কারণ হয়। কিন্তু, নতুন গবেষণা বলছে, একটি শিশুর ‘আইকিউ লেভেল’ মাত্র ৫০ শতাংশ নির্ভর করে তার জিনের উপর। বাকিটার জন্য দায়ী থাকে তার পারিপার্শ্বিক।
কোন কোন কারণে আপনার শিশুটি বুদ্ধিমান হয়ে জন্মাবে, গবেষণায় উঠে আসা সেই কারণগুলো জেনে নিন-
১) পুষ্টিকর খাবার : শিশুর ‘ব্রেন ডেভেলপমেন্ট’-এর জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই জরুরি। তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মাছ, সোয়াবিন, পালংশাক খাওয়া প্রয়োজনীয়। অন্যান্য শাক যাতে আয়রন রয়েছে, এমন শাকও শিশুর ব্রেনে অক্সিজেন সাপ্লাই করতে সাহায্য করে। আমন্ড ও ওয়ালনাটও খুবই প্রয়োজনীয়।
২) ফিট ও অ্যাক্টিভ : একসরসাইজ করলে শরীরে রক্তের প্রবাহ ভালো হয়, যা শিশুর বেড়ে ওঠায় সাহায্য করে। রিসার্চ বলছে, মা শারীরিক কসরত করলে, গর্ভের সন্তানের ব্রেনে নিউরনের মাত্রা বেড়ে যায় প্রায় ৪০ শতাংশ। এটি মানুষের মনে রাখার শক্তি বহন করে।
৩) কথা বলুন গর্ভস্থ সন্তানের সঙ্গে : অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় একই গান বা কবিতা যদি বার বার শোনা যায়, রিসার্চ বলছে, জন্মের পরে সেই গান বা কবিতা শুনলে শিশুটি চিনতে পারে।
৪) হাল্কা ম্যাসাজ : রিসার্চ বলছে, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২০ সপ্তাহ থেকেই মায়ের পেটের উপর হাত রাখলে, শিশুটি তা বুঝতে পারে। রিসার্চে এমনও তথ্য বলা হয়েছে যে, শিশুটি বাবা বা মায়ের স্পর্শও বুঝতে পারে। তাই পেটের উপর আমন্ড ওয়েলের ম্যাসাজ খুবই উপকারী।
৫) গল্প সেশন : অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তিন মাস পর থেকেই গর্ভের সন্তানটির আওয়াজ বা শব্দ মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, জানাচ্ছেন প্যারেন্টিং এক্সপার্ট পলি সেনগুপ্ত। তার মতে, মা বা বাবা যদি লাগাতার ছোটদের কোনো গল্প জোরে জোরে পড়ে, সে ক্ষেত্রে শিশুটির ব্রেন সেই শব্দগুলো মনে রাখে।