কলার প্রতি কামড়ে ম্যাজিক!
মোটা হওয়ার আশঙ্কায় অনেকে কলা এড়িয়ে চলেন। কারও ভয় ব্লাড সুগার নিয়ে। ভয়কে দূরে পাঠান। গবেষণা বলছে, কলার প্রতিটা কামড়ে রয়েছে ম্যাজিক।কলাতেই রয়েছে সুগার আর ওজন কন্ট্রোলের যাদুমন্ত্র। এখানেই শেষ নয় কোলন ক্যানসার, হার্টের রোগের আশঙ্কাও কমায় কলাই।
গবেষকরা বলছেন, খাদ্যগুণে যে কোনও দামী ফলকে অনেকশ মাইল পিছনে ফেলে দেবে কলা। ফাইবার, অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর কলা। ফ্যাট এতে নেই বললেই হয়। কাঁচা কলা সম্বৃদ্ধ পেকটিন আর রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার পরে কলা খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড সুগার লেভেল। কলায় থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষকদের মতে, দিনে ১৫-৩০ গ্রাম রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ ইনসুলিন সেনসিটিভিটি ৩৩-৫৫% পর্যন্ত বাড়ায়। পেকটিন কোলন ক্যানসারের আশঙ্কা কমায়। কলায় থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে।
অনেকই ভাবেন কলা খেলেই বেড়ে যাবে ওজন। বিষেষজ্ঞরা বলছেন এটা মোটেই ঠিক নয়। কলায় থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ খিদে কমিয়ে দেয়। ফাইবার সম্বৃদ্ধ কলা ওজন কমাতে সহায়ক হয় বলেই দাবি। কলা ভরপুর পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে। গবেষণায় প্রমাণিত, পটাশিয়াম সম্বৃদ্ধ ডায়েট হার্টের অসুখের আশঙ্কা ২৭% পর্যন্ত কমায়। যে মহিলারা সপ্তাহে ২-৩বার কলা খান, তাদের কিডনির অসুখ হওয়ার আশঙ্কা ৩৩% কম। ব্যায়ামের পর পেশি ক্লান্তি এক ঝটকায় কমিয়ে দেয় কলায়। সুন্দর ত্বক পেতেও কলার জুড়ি মেলা ভার।
তাই আর দেরি নয়…ভাল থাকতে সুস্থ থাকতে এবার থেকে রোজ খান কলা। অনুভব করুন এতে লুকিয়ে থাকা ম্যাজিককে।