যেসব পুরুষ মনে করেন, মেয়েরা তাঁদের হাতের পুতুল, চাইলেই তাঁদের নিয়ে যা-খুশি করা যায়, তাঁরা এই বেলা সাবধান হোন। না হলে কপালে বেধড়ক দুক্‌খু আছে বলে নিদান দিচ্ছেন মনোবিজ্ঞানীরা।

নিজেকে সুবিশাল লেভেলে রমণীমোহন হিসেবে ভেবে চলেন যাঁরা, তাঁদের জন্য খারাপ খবর আছে। বিশেষ করে যেসব পুরুষ চরম সেক্সিস্ট মনোভাব বজায় রাখেন, মনে করেন, মেয়েরা তাঁদের হাতের পুতুল, চাইলেই তাঁদের নিয়ে যা-খুশি করা যায়, তাঁরা এই বেলা সাবধান হোন। না হলে কপালে বেধড়ক দুক্‌খু আছে বলে নিদান দিচ্ছেন মনোবিজ্ঞানীরা।

আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, ‘প্লেবয়’মানসিকতাসম্পন্ন পুরুষরা একটা বয়সের পর থেকে এমন কিছু মনোবিকারে ভুগতে শুরু করেন, যা অনেক সময়ে চিকিৎসার বাইরে চলে যায়। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও সমীক্ষা-সিদ্ধান্তগুলিকে যাচাই করে গবেষকরা দেখেছেন, সেক্সিস্ট পুরুষ একটা পর্যায়ের পর থেকে ভুগতে শুরু করেন মানসিক ব্যাধিতে। পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, ২০,০০০ পুরুষের মধ্যে ৭৮ শতাংশই এই সমস্যার শিকের হন। আফ্রিকান-আমেরিকান এবং এশিয়ান-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর মধ্যেই এই সমস্যা প্রবল, এমন দাবি গবেষকরা করেছেন ‘জার্নাল অফ কাউন্সেলিং সাইকোলজি’-তে।

এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD

সেক্সিস্ট আচরণের লক্ষণ হিসেবে ১০টি বিষয়কে তাঁরা উল্লেখ করেছেন। এগুলি হল—

১. সব সময়ে জয়ের চেষ্টা।
২. সব সময়ে ঝুঁকি নিতে তৎপর থাকা।
৩. ভায়োলেন্সের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ।
৪. সর্বদাই কতৃত্ব ফলানোর চেষ্টা।
৫. যৌন কর্মকাণ্ডে অতিমাত্রিক উৎসাহ।
৬. মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।
৭. নিজের পেশা নিয়ে অহেতুক গর্ব।
৮. মেয়েদের উপরে প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা।
৯. সমকামীদের প্রতি অবজ্ঞা বা ঘৃণা।
১০. সবসময়ে স্টেটাস-সচেতন থাকা।

এই দশ দফা মনোবৃত্তি থেকে কেবল ক্লান্তি, অবসাদ নয়, রীতিমতো শরীর খারাপও হতে পারে। এমনকী এগুলি থেকে দৈহিক বিকৃতিও ঘটা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। মার্কিন সংস্কৃতিতে এই অতিমাত্রিক পৌরুষ প্রদর্শনের রীতিটি আজ এক ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি হিসেবে পরিগণিত। মার্কিন সংস্কৃতির বিশ্বায়নে এই ‘অসুখ’ ছড়িয়ে পড়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো দেশগুলিতেও।‘টক্সিক ম্যাসকুলিনিটি’কে এক গ্লোবাল সমস্যা হিসেবেই দেখতে চান মনোবিদরা।