দৈনন্দিন জীবনে আমাদের কিছু না কিছু বদভ্যাস রয়েছে। এ বদভ্যাসগুলো জীবনে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। ভালোভাবে বাঁচার জন্য সবারই এ বদভ্যাসগুলো ত্যাগ করা উচিত।

ক্ষুধা না থাকলেও খাওয়া : খাওয়ার অভ্যাসটি বহু মানুষেরই সঠিকভাবে নেই। এক্ষেত্রে অনেকেই দেহের সঠিক চাহিদার প্রতি খেয়াল না রেখেই খাওয়া-দাওয়া করেন। এতে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। এজন্য শুধু ক্ষুধা লাগলেই খাওয়া উচিত।

বিছানায় মোবাইল ফোন : মোবাইল ফোন নিয়ে বিছানায় যাওয়া উচিত নয়। এগুলো রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই বিছানাটি শুধু ঘুমের জন্যই বরাদ্দ করা উচিত।

ক্রমাগত অভিযোগ : অনেকেরই ক্রমাগত নানা বিষয়ে অভিযোগ করা অভ্যাস থাকে। এ অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ থাকলে সেজন্য অভিযোগ করাই যেতে পারে। তবে ক্রমাগত অভিযোগ করা হলে অভিযোগের গুরুত্ব হারায়।

অগোছালো থাকা : অনেকেরই নানা ক্ষেত্রে অগোছালো থাকা অভ্যাস। এক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত অগোছালো থাকলে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে নানা ধরনের সমস্যা হয়। তাই কিছুটা গোছালো হয়ে উঠুন।

একসঙ্গে একাধিক কাজ : আপনার যদি মাল্টিটাস্কিং বা একসঙ্গে একাধিক কাজ করা অভ্যাস থাকে তাহলে তা ত্যাগ করুন। কারণ একসঙ্গে একাধিক কাজ করা হলে তা কাজের গতি বাড়ায় না বরং কমিয়ে দেয়। আর কোনো কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রেও এটি সমস্যা সৃষ্টি করে।

সঞ্চয় পরিকল্পনা না থাকা : আপনার যদি সঞ্চয় করার অভ্যাস না থাকে তাহলে তা ভবিষ্যতে বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ুন। অবসর জীবনের কথা চিন্তা করুন আগেই।

ঋণে জর্জরিত হওয়া : খুব প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু ঋণের জালে একেবারে জর্জরিত হয়ে যাওয়া মোটেই ভালো নয়। এটি ত্যাগ করুন।

পরচর্চা : কর্মক্ষেত্রে কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে পরচর্চা করার অভ্যাস ভালো নয়। এটি ত্যাগ করা উচিত সবারই।

ধূমপান : ধূমপান স্বাস্থ্যের বড় ধরনের ক্ষতি করে। এটি সবার ত্যাগ করা উচিত।

অজুহাত তৈরি : বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে বাধা আসবেই। কিন্তু এ বাধা ডিঙ্গিয়ে কাজটি সমাধান করাই বড় বিষয়। আপনি যদি কাজের বাধাগুলোর জন্য থেমে যান এবং নানা ধরনের অজুহাত তৈরি করেন তাহলে মোটেই এগোতে পারবেন না। তাই অজুহাত তৈরির অভ্যাস বাদ দিতে হবে।