নারীদেহের কিছু গোপন তথ্য, যা নারীরাও জানেনা
নিজের শরীরের ব্যাপারে অনেক ভুল ধারণা এবং কুসংস্কার রয়েছে বাংলাদেশের নারীদের। এমনকি শরীরের ব্যাপারে জানতেও অনেকে লজ্জা পান! এই লজ্জা এবং অজ্ঞতার কারণেই অনেক রোগ বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যখন আর কিছুই করার থাকে না। নারীরা জেনে রাখুন নিজের শরীরের ব্যাপারে খুব গুরুত্বপুর্ন ৪টি তথ্য।
১) ইস্ট ইনফেকশনের ব্যাপারে সাবধান থাকুন
নারীদের যৌনাঙ্গে ইস্ট ইনফেকশন হওয়াটা প্রায়ই দেখা যায়। নারীরা এ ব্যাপারটাকে লুকিয়ে তো রাখেনই, পাশাপাশি কী কারণে ইস্ট ইনফেকশন হয় সে ব্যাপারে তারা জানেন না। অ্যান্টিবায়োটিকস খাওয়ার সময়ে শরীরের স্বাভাবিক ব্যাকটেরিয়াল ব্যালান্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ইস্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন আসে। যেমন গর্ভধারন অথবা পিরিয়ডের ঠিক আগে।
এসব সময়ে ইস্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বেশি থাকে। স্যাঁতস্যাঁতে কাপড় পড়ে বেশি সময় কাটালে ইস্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বেশি হয়। ঘামে ভেজা পোশাক বেশিক্ষণ পড়ে থাকলে অথবা স্যাঁতস্যাঁতে অন্তর্বাস পরলে এবং অন্তর্বাস পরেই ঘুমালে ইস্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বেশি হয়।
২) হার্পিস অনেকের মাঝেই দেখা যায়
নিজের অজান্তেই অনেকে শরীরে হার্পিসের জীবাণু বয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকেই লজ্জায় এবং ভয়ে হার্পিসের ব্যাপারটাকে অস্বীকার করেন, ডাক্তারকেও বলতে চান না। এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই বরং সচেতন হওয়া জরুরী। কারণ চিকিৎসা না করলে স্নায়ুতন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এর চিকিৎসা বেশ সহজ তাই চিন্তিত হবার কিছুই নেই।
৩) নিজের শরীরকে ভালোবাসুন
এদেশের নারীরা নিজেদের যৌনাঙ্গের যত্ন তো নেন না বেশীরভাগ সময়ে, বরং ভীষণ অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু শুধুমাত্র নিজের যৌন জীবনের কথা ভেবে নন, বরং নিজের সার্বিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই নিজের যৌনাঙ্গের যত্ন নেওয়াটা জরুরী।
৪) কনডম ব্যবহারে HPV রোধ করা যায় না
HPV বা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বেশ কিছু ক্যান্সারের জন্য দায়ী। কিন্তু কনডম ব্যবহারের মাধ্যমে একে ঠেকানো যায় না। কারণ এটা অন্তরঙ্গ সংস্পর্শের মাধ্যমে ত্বক থেকে ত্বকে ছড়াতে পারে।