এমন অনেক নারী আছেন যাদের স্তনের আকার বংশানুক্রমে কিছুটা ছোট আকৃতির হয়ে থাকে। তারা তাদের স্তনের আকার কিছুটা বড় করতে চান। অবশ্য অনেকে বলে থাকেন যে বিয়ের পরে স্তনের আকৃতি বড় হয়ে যায় কিন্তু তা আদতে তেমন পরিবর্তিত হয় না।

সাধারণত গ্লান্ডুলার টিস্যু এবং বিশেষ প্রকার চর্বির সমন্বয়ে নারীর স্তন গঠিত। অনেকে মনে করে থাকেন যে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়ামের ফলে স্তনের অঅকার পরিবর্তন করা সম্ভব। কিন্তু আসলে এই ব্যায়ামগুলো স্তনের আকার পরিবর্তিত করতে পারে না। ব্যায়ামের ফলে স্তনের নিচের “পেক্‌টরিয়াল পেশী” উন্নত হয়ে থাকে যেটাতে মনে হবে স্তনের আকার পরিবর্তন হয়েছে এবং কিছুটা উপরের দিকে উন্নত হয়েছে।

ব্যায়ামগুলো যেভাবে করবেন :

ডাম্বল চেষ্ট প্রেস (Dumble chest press) :

মেঝে বা বেঞ্চে সোজা হয়ে শুয়ে দুই হাতে দুটি ডাম্বল নিয়ে তা বুকের সমতলে ধরুন। লক্ষ্য রাখবেন আপনার দুই হাতের কনুই ঘাড়ের সমান সরলরেখায় থাকে কি না। এবার ডম্বল আস্তে আস্তে সোজা উপরের দিকে উঠান। হাত একেবারে সোজা হয়ে গেলে ১৫ সেকেন্ডের মত সেই অবস্থানে রাখুন। প্রতিদিন এই ব্যায়াম ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন।

কোবরা স্ট্রেচ্ (Cobra Stretch) :

দুই পা একত্র করে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে ভর দিয়ে পা সোজা রাখুন। দুই হাতের তালু মেঝেতে রাখুন। হাতের তালু কাঁধের সামনে স্থাপন করুন। এবার হাতের উপর ভর রেখে কোমর থেকে মাথা পর্যন্ত শরীরের উপরের অংশ ক্রমশঃ উপরের দিকে উঠান। হাত পুরা সোজা হওয়ার পর পিঠ ধনুকের আকারে আসলে আকাশের (উপরের) দিকে তাকান। আবার আস্তে আস্তে পূর্বের অবস্থানে ফিরে যান। এভাবে ১০ বার পুনরাবৃত্তি করার পর শেষ অবস্থানে (পিঠ ধনুকের মত বাকা থাকা থাকা অবস্থায়) প্রায় ৬০ সেকেন্ডের মত এই অবস্থানে অপেক্ষা করুন। তবে লক্ষ্য রাখবেন এমনভাবে যেন চাঁপ না পড়ে যাতে মেরুদন্ডে ব্যথা অনুভব হয়।

প্রেইস পোজ স্ট্রেচ (Praise Pose Strech) :

হাটু গেড়ে নামাজের ভঙ্গিতে বসুন। তবে পায়ের পাতা সোজা না রেখে তা এমনভাবে রাখুন যাতে দুই পায়ের পাতা মেঝেতে ঠেকে থাকে (অনেকটা ক্রস করে রাখার মতো)। এবার দুই হাতের আঙুলে আঙুলে আঁকড়ে ধরে তা মাথার পিছনে স্থাপন করুন। তারপর ক্রমশঃ মাথাকে যথা সম্ভব হাঁটুর কাছাকাছি নিয়ে যান। এই অবস্থানে কিছুক্ষণ অবস্থান করুন। প্রতিদিন কয়েকবার করে এ ব্যায়ামটি করতে পারেন।

চেষ্ট লিপ্ট (Chest left) :

আপনার জামি’র (চিন) নিচে হাতের পাতা রেখে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার মাথা, বাহু এবং বুক ভুমি থেকে ৫ হতে ৬ ইঞ্চি পরিমাণে উপরে উঠান। এ অবস্থানে ১০ সেকেন্ডের মত অপেক্ষা করুন। এ ব্যায়ামটি দিনে ৫ থেকে ১০ বার করতে পারেন।

ডাউনওয়ার্ড ডগ (Downward Dog) :

পদ্ধতিটির নাম শুনেই অনুমাণ করতে পারছেন আপনার হাতের তালু এবং হাঁটুতে ভর করে কুকুরের/ছোটদের জন্য ঘোড়া যেভাবে সাজি সেই ভঙ্গিতে অবস্থান নিন। এবার শরীরের মধ্য অংশ তথা নিতম্ব আকাশ/ছাদের দিকে উচু করতে থাকুন। হাটুর ভর ছেড়ে দিয়ে হাতের তালু এবং পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে নিতম্ব যথা সম্ভব উপরের দিকে উঠান। শেষ অবস্থানটা হবে ইংরেজী “V” অক্ষরের উল্টারুপের মত। এই পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি কয়েকবার করুন।