৮ স্বাস্থ্য-সংকেত উপেক্ষা করলে পুরুষের সর্বনাশ
পুরুষরা অনেক সময়েই বাইরের জগতের কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। নিজের শরীরের দিকে সেই কারণে আর তেমন নজর দেওয়ার সময় পান না। সেই অবকাশে শরীরে বেড়ে উঠতে থাকে কোনো এক গুরুতর ব্যাধি। এমন অমনোযোগী পুরুষদের সচেতন করতেই সম্প্রতি ‘মেল হেলথ’ নামের স্বাস্থ্য-পত্রিকা জানিয়েছে এমন কিছু শারীরিক লক্ষণের কথা, যেগুলি কোনো কঠিন অসুখের পূর্বাভাস হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কোন কোন লক্ষণ সেগুলি? আসুন, জেনে নেওয়া যাক-
অণ্ডকোষে দলা অনুভব করা : পুরুষদের নিয়মিত নিজের অণ্ডকোষ হাত দিয়ে ধরে পরীক্ষা করা প্রয়োজন, এবং দেখা দরকার সেখানে কোনো পিণ্ড বা দলা অর্থাৎ লাম্পের অনুভূতি পাওয়া যাচ্ছে কি না। যদি তা যায়, তা হলে অবিলম্বে ডাক্তারের দ্বারস্থ হওয়া দরকার। কেননা এই লক্ষণ টেস্টিক্যুলার ক্যানসার অর্থাৎ অণ্ডকোষের ক্যানসারের পূর্বাভাস হতে পারে।
অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব : পরিশ্রম কিংবা যথেষ্ট পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া ক্লান্তিবোধ হওয়ার একটি কারণ হতে পারে। কিন্তু যদি আপাতদৃষ্টিতে সব কিছু ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও ক্লান্তি বোধ হয়, তা হলে তা হতে পারে ডায়বেটিজ, লাং ক্যানসার কিংবা হার্টের রোগের লক্ষণ।
প্রস্রাবের সময়ে বেদনা অনুভব করা কিংবা রক্তপাত হওয়া : মূত্র ত্যাগের সময়ে যদি মূত্রনালীতে ব্যথার অনুভূতি হয়, কিংবা প্রস্রাবের সঙ্গে যদি রক্ত বেরোয়, তা হলে তা প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
জোরে জোরে নাক ডাকা : ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেন না প্রায় কোনো পুরুষই। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে জোরে জোরে নাক ডাকা কিন্তু শ্বাসযন্ত্রের কোনো অ্যালার্জি কিংবা স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো রোগের ইঙ্গিত হতে পারে।
কিছু দূর হাঁটলেই হাঁপিয়ে পড়া : সামান্য হাঁটলেই কি আপনার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়? তা হলে সতর্ক হোন, কেননা, এটি হতে পারে অ্যানিমিয়া, অ্যাজমা কিংবা হার্টের কোনো রোগের উপসর্গ।
বুকে কোনো পিণ্ড অনুভব করা : বুকে হাত দিয়ে চামড়ার ভিতরে যদি কোনো পিণ্ড বা দলা জাতীয় জিনিস টের পান, তা হলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান। কারণ এটি ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যারা জানেন না, তারা জেনে রাখুন যে, ব্রেস্ট ক্যানসার শুধু নারীদের নয়, পুরুষদেরও হয়।
বার বার টয়লেটে যাওয়া : প্রস্রাব করার জন্য যদি কিছু ক্ষণ বাদে বাদেই টয়লেট ছুটতে হয় আপনাকে, এবং প্রস্রাব শুরু হতে যদি অনেকটা সময় লাগে, তা হলে তা প্রস্টেটের রোগের লক্ষণ। এমনটা হলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অকালে চুল ঝরে যাওয়া : টাক পড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে কোনো পুরুষই তেমন একটা গুরুত্ব দেন না। এটি ঠিকই যে, একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে মাথার চুল ঝরে যেতেই পারে। কিন্তু সেই বয়সের আগেই যদি মাথার চুল ঝরে যেতে শুরু করে, তা হলে তা থাইরয়েডের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগলে ডাক্তারের দ্বারস্থ হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।