যে ১০ ধরনের ক্যানসার সবচেয়ে বেশি হয়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১২ সালে সারা বিশ্বে ৮০ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ক্যানসারে। যা প্রতি বছর গড় মৃত্যুর প্রায় ২২ শতাংশ। গোটা বিশ্বে ক্যানসার যেমন ছড়িয়ে পড়ছে, তেমনই বেড়ে চলেছে ক্যানসার নিয়ে ভয়, হতাশা। ক্রমশই খরচ সাপেক্ষ হয়ে উঠছে ক্যানসারের চিকিৎসা। জেনে নিন এই মুহূর্তে বিশ্বে কোন ১০ ক্যানসারে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
১. নন মেলানোমা স্কিন ক্যানসার : সারা বিশ্বে প্রতি বছর গড়ে ১০ লাখ মানুষ ত্বকের এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন। অতিরিক্ত রোদ ও সূর্য রশ্মি ত্বকে প্রবেশ করার ফলে এই ক্যানসার হয়।
২. লাং ক্যানসার : লাং ক্যানসারের সবচেয়ে বড় কারণ ধূমপান। স্মল সেল লাং ক্যানসার ও নন-স্মল সেল লাং ক্যানসার প্রধানত এই দু’ধরনের লাং ক্যানসার হয়। প্রতি বছর সারা বিশ্বে ১,৬০,০০০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় ফুসফুসে ক্যানসারের কারণে।
৩. ব্রেস্ট ক্যানসার : নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হন তা হল ব্রেস্ট ক্যানসার। প্রতি বছর গড়ে ১,৯০০ নারীর এই ক্যানসার ধরা পড়ে।
৪. প্রস্টেট ক্যানসার : প্রতি বছর গড়ে ১,৯২,২০০ জন মানুষের প্রস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে। মূলত ৫০-এর বেশি বয়সের পুরুষরাই এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
৫. কোলোরেক্টাল ক্যানসার : কোলন, রেকটাম বা বৃহদন্ত্রের কোনও অংশে কোলোরেক্টাল ক্যানসার হতে পারে।
৬. ব্লাডার ক্যানসার : ব্লাডারের টিস্যুতেও ক্যানসার কোষ বাসা বাঁধতে পারে। এই ক্যানসারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ট্রান্সিশনাল সেল কার্সিনোমা। অ্যাডিনো কার্সিনোমা বা স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমাও হতে পারে। ইউরিনারি ব্লাডারের এপিথেলিয়াল লাইনিং থেকে শুরু হয় ক্যানসার সেলের প্রকোপ।
৭. মেলানোমা : সারা বিশ্বে প্রতি বছর গড়ে ৬৮,৭২০ জন মানুষ ত্বকের এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন। ত্বকের মেলানোসাইট কোষ থেকে ছড়িয়ে পড়ে ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা। সাধারণত পিঠের ত্বক থেকে ছড়িয়ে পড়ে মেলানোমা। প্রথমে একটি তিলের মতো দেখা যায়। তারপর এবড়ো খেবড়ো হয়ে রং বদলাতে থাকে। এক সময় ত্বক খসে যায় ও চুলকানি শুরু হয়।
৮. নন হজকিন লিম্ফোমা : প্রতি বছর প্রায় ৬৫,৯৮০ জন মানুষ এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন। শ্বেত রক্তকণিকা ও লিম্ফোসাইটের এই ক্যানসারের লক্ষণ হলো লিম্ফনোড ফুলে ওঠা, জ্বর ও অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া।
৯. কিডনি ক্যানসার : প্রতি বছর সারা বিশ্বে ৪৯,০০০ জন মানুষ কিডনি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। কিডনি ক্যানসার মূলত দু’ধরনের হয়। রেনাস সেল কার্সিনোমা ও ট্রান্সিশনাল সেল কার্সিনোমা অব দ্য রেনাল পেলভিস।
১০. লিউকেমিয়া : এই ক্যানসার বোন ম্যারো থেকে শুরু হয়। রক্তে শ্বেত কণিকার মাত্রা বেড়ে যায়। প্রধানত চার ধরনের লিউকেমিয়া হয়। মাইলয়েড লিউকেমিয়া, অ্যাকিউট লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া, ক্রনিক লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া ও ক্রনিক মাইলয়েড লিউকেমিয়া।