মানসিক চাপ দূর করে দেবে এই ৫টি পানীয়
– মানসিক চাপ অথবা টেনশন নানা কারণে হতে পারে। কাজের চাপ, পারিবারিক এবং সম্পর্কের টানাপোড়ন, সামাজিক নানা সমস্যার কারণে সৃষ্টি হতে পারে মানসিক চাপের। হালকা পাতলা সামান্য মানসিক চাপকে আমরা কেউ গুরুত্ব দিয়ে থাকি না। কিন্তু মানসিক চাপটা যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে তা হতে পারে মারাত্মক কোনো রোগের কারণ। সাইকোলজিস্ট এবং হেলথ এক্সপার্টদের মতে মানসিক চাপ থেকে যতোটা দূরে থাকা যায় ততটাই ভাল। কিন্তু যতই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে চান না কেন, সম্পূর্ণভাবে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব নয়। অনেকে এই মানসিক চাপ দূর করার জন্য খেয়ে থাকেন ঔষধ। ঔষধ না খেয়ে কিছু পানীয় পান করতে পারেন। স্বাস্থ্যকর এই পানীয়গুলো দূর করে দেবে আপনার মানসিক চাপ।
১। চেরির জুস
পাঁচ থেকে আট আউন্স চেরির জুস এবং কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে নিন। এই পানীয়টি সকালে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘন্টা আগে পান করুন। এটি আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে আপনাকে রিল্যাক্স করবে।
২। ঠান্ডা বা গরম দুধ
যদি আপনার ঘুমের সমস্যা থাকে তবে এক গ্লাস দুধ পান করে নিতে পারেন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। দুধের অ্যামিনো অ্যাসিড আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। আপনি চাইলে দুধে সামান্য পরিমাণে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে কখনও অ্যালকোহলের সমর্পণ হবেন না।
৩। ডাবের পানি
ডাবের পানি শক্তি উদ্দীপক। এর ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম পেশী রিল্যাক্স করে। এক কাপ নারকেল পানিতে দুটি কলার পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। অনেক বেশি টেনশন অথবা মানসিক চাপ অনুভব করলে এক গ্লাস ডাবের পানি পান করুন, দেখবেন মানসিক চাপ অনেক খানি কমে গেছে।
৪। মধু চা
মশলা চা পান করতে না চাইলে পান করতে পারেন মধু চা। মধু চা ও আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করে আপনাকে করে তুলবে কর্ম উদ্যমী। মশলা চায়ের স্বাদ বাড়াতে যোগ করতে পারেন মধু। আবার চায়ের বদলে গরম নারকেলের দুধ, গরম দুধেও মধু যোগ করে পান করতে পারেন। তবে লক্ষ্য রাখবেন মধুর পরিমাণ যেন বেশী না হয়। আর আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তবে মধু ব্যবহার না করাই ভাল।
৫। সবুজ চা
এক নিমিষে ক্লান্তি দূর করার জন্য সবুজ চায়ের জুড়ি নেই। সবুজ চায়ে থিয়ানিন নামক উপাদান আছে যা আপনার স্নায়ু ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক কাপ সবুজ চা পান করুন। সম্ভব হলে সকাল শুরু করুন এক কাপ সবুজ চা দিয়ে। অফিস থেকে ফিরেও পান করে নিন এক কাপ সবুজ চা। এটি আপানার মানসিক চাপ কমিয়ে আপনাকে ভেতর থেকে শান্তি দেবে।