শিম্পাঞ্জি বা অন্য অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণীরই থাকে। অথচ মানুষের থাকে না। এই নিয়ে মানুষ ভাবনা-চিন্তা করে চলেছে অনেক কাল ধরেই। সম্প্রতি এক সন্তোষজনক ব্যাখ্যা উঠে এল বিজ্ঞানের তরফ থেকে। ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডন-এর গবেষিকা মাটিল্ডা ব্রিন্ডল জানিয়েছেন,

১৪৫ থেকে ৯৫ মিলিয়ন বছর আগেকার স্তন্যপায়ীদের মধ্যে ‘লিঙ্গ-হাড়’ বা ‘ব্যাক্যুলাম’ ছিল এবং তা রীতিমতো কাজেও লাগতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা লুপ্ত হয়। এই বিবর্তনের পিছনে মাটিল্ডা যে কারণটিকে খাড়া করেছেন, তা কিন্তু রীতিমতো ‘সামাজিক’।

মাটিল্ডার মতে, পেনিস বোন-এর উপযোগ ছিল মানুষের পূর্বপুরুষদের আমলে। সেই প্রাণীদের যৌনসঙ্গমের সময় ছিল তিন মিনিট বা তার চাইতে সামান্য বেশি। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে তা দুই মিনিটে নেমে আসে। ফলে, ক্রমশ উপযোগ হারাতে থাকে এই হাড়। উদাহরণ হিসেবে তিনি আই-আই নামের এক নিশাচর লেমুরের কথা বলেছেন। তার সঙ্গম-সময় প্রায় ১ ঘণ্টা। এবং তার পেনিস বোন-এর দৈর্ঘ্যও খুব বেশি। মাটিল্ডা জানিয়েছেন, যেসব প্রাণীর সঙ্গম বিশেষ ঋতু-নির্ভর এবং যারা চরিত্রগতভাবে বহুগামী, তাদেরই এই হাড় থেকে গিয়েছে। শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে এই হাড় সেই কারণেই আজও বর্তমান।

মানুষের চরিত্র থেকে বহুগামিতা বহুকাল হল উধাও। আর তা ছাড়া, মানুষের সঙ্গম-ঋতু বলেও কিছু হয় না। সে কারণে উধাও পেনিস বোন-ও। এখন, এই হাড়ের ক্রমাবলোপের ফলেই মানুষের বহুগামিতা উধাও হয়েছে, নাকি বহুগামী প্রবৃত্তির বিলোপ এই হাড়কে অবলুপ্ত করেছে, তা কিন্তু স্পষ্ট করে জানাননি মাটিল্ডা।

https://www.youtube.com/watch?v=8wGXfaMEs6E&feature=youtu.be