শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে চিন্তার শেষ নেই! শরীরে একটু বাড়তি মেদ জমলে তা কমানোর জন্য শুরু হয়ে যায় ডায়েট, করা হয় ব্যায়াম। এত কিছু করার পরও শেষ রক্ষা হয় না। অথচ কিছু অভ্যাস ত্যাগ করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আমরা প্রতিদিন এমন কিছু কাজ করি যা শরীরের মেদ জমার জন্য দায়ী। এই অভ্যাসগুলো থাকলে ডায়েট, ব্যায়াম করে শরীরে মেদ সাময়িকভাবে কমলেও আবার পুনরায় মেদ দেখা দেবে। তাই আজই ত্যাগ করুন এই বদঅভ্যাসগুলো।

* খাবারে বড় কামড় দেওয়া
আপনি কি খাবারে বড় কামড় দিয়ে খান? তবে আজই এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বড় কামড় তারা বেশি ক্যালরি গ্রহণ করে যারা ছোট কামড় দিয়ে খাবার খেয়ে থাকেন। খাবার ভাল করে চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

* পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করা
প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ গ্লাস পানি পান করা উচিত। যারা পানি কম পান করেন, তাদের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পর্দাথ বের করে দেয়।

* ডায়েট পানীয় আসক্তি
ওজন বৃদ্ধির ভয়ে ডায়েট পানীয় পান করছেন। আর এতেই আপনি বড় ভুলটি করছেন। University of Texas Health Science Center ৪৭৫ জনের মধ্যে জরিপ চালিয়েছিল, সেখানে দেখা গেছে যারা ডায়েট ড্রিঙ্ক পান করেছেন তাদের ৭০% পর্যন্ত কোমর বৃদ্ধি পেয়েছে যারা ডায়েট ড্রিঙ্ক পান করেন না তাদের তুলনায়। শুধু তাই নয় যারা দুইয়ের বেশি ডায়েট ড্রিংক পান করেন তাদের ৫০০% পর্যন্ত কোমর বৃদ্ধির তথ্য পাওয়া যায়!

* প্রোটিনের অভাব
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া উচিত। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ অতিরিক্ত ১০ গ্রাম প্রোটিন খেতে পারে সুস্বাস্থ্যের জন্য। প্রোটিন ব্লাড সুগার লেভেল এবং ইনসুলিনের লেভেলের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখে। তাই ডায়েট করতে যেয়ে মাংস সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া যাবে না।

* দেরি করে রাতের খাবার খাওয়া
এটি সত্য যে শরীর ঘুমন্ত অবস্থায় আপনার পেটের মেদ কেটে থাকে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় আপনি ভরা পেটে ঘুমাতে যাবেন। ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ক্ষুধা পেলে হালকা ছোট ফল বা দুধ খেতে পারেন।

* টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া
এই কাজটি অনেকেই করে থাকেন। registered dietitian nutritionist Leslie Schilling বলেন ”আপনার জন্য খাবার গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন যখন আপনি টিভি, কম্পিউটার দেখতে দেখতে খান। এটি খাবারের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে আসে”। যার ফলশ্রুতিতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যায়।

* কম ঘুম
ওজন বৃদ্ধি শুধু মাত্র খাবারের সাথে সম্পর্ক যুক্ত তা নয়, ঘুমের সাথেও এর সম্পর্ক আছে। বেশি ঘুম যেমন ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী ঠিক তেমনি কম ঘুমও ওজন বৃদ্ধি করে। দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।