আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের যৌনতা বিষয়ে সঠিক ধারণা নেই। তবে কুসংস্কারের উপর আছে তাদের অগাধ বিশ্বাস। এই অজ্ঞতা এবং কুসংষ্কারের কারণেই দেহে বাসা বাঁধে রোগব্যাধি। আজ ইউরিনারী ইনকন্টিনেন্সের দুটি সমস্যার সমাধান দিয়েছেন কনসালট্যান্ট গাইনিকলজিস্ট ডা. রঞ্জিত চক্রবর্তী।

প্রশ্ন: আমার বয়স ২৭। সদ্য বিয়ে হয়েছে। প্রতিবারই শারীরিক মিলনের পরে পোস্ট কয়েটাল ব্লিডিং হয়। এটা কী স্বাভাবিক? শুনেছি এরকম লক্ষণ থাকলে সারভাইকাল ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। এত কম বয়সে কি আমার ক্যান্সার হতে পারে?

-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

উত্তর: পোস্ট কয়েটাল ব্লিডিং বেশ কয়েকটি কারণে হতে পারে। কম বয়সে এরকম ব্লিডিংয়ের সবচেয়ে কমন কারণ হল সার্ভিক্সে আলসার। একে সাধারণভাবে সারভাইকাল ইরোশন বলে। অনেকদিন ধরে ভ্যাজাইনাতে যদি কোনও ইনফেকশন থাকে, তাহলে সেটির কারণেও হতে পারে। তবে যাই হোক না কেন, প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট ও ভ্যাজাইনাল ইনফেকশনের সোয়াব করিয়ে নেওয়া আবশ্যক। যদি ইনফেকশন থাকে, তাহলে ওরাল ও ভ্যাজাইনাল মেডিকেশন দিয়ে চিকিত্‌সা করা হয়। যদি সার্ভিক্সে আলসার পাওয়া যায়, তাহলে সারভাইকাল কটারির প্রয়োজন হতে পারে। সার্ভিক্সে পলিপও পাওয়া যেতে পারে অনেকসময়। সেক্ষেত্রে পলিপেক্টোমি অপারেশনের প্রয়োজন হয়।

প্রশ্ন: আমার বয়স ৪০। থাইরয়েডের সমস্যা আছে। কিছুদিন ধরেই দেখছি জোরে কাশলে ইউরিন লিক হয়ে যাচ্ছে। এর কারণ কী? ভয়ের কিছু আছে?

-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

উত্তর: ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স চলিশোর্ধ্ব মহিলাদের মধ্যে একটি কমন সমস্যা। পেলভিক মাসল দুর্বল হয়ে গেলে বা ইউরিন ব্লাডার নীচে নেমে আসার ফলে এটা হয়। এরসঙ্গে থাইরয়েডের খুব একটা সম্পর্ক থাকে না। ইউরিন কালচার, আলট্রাসোনোগ্রাফি ও ইউরোডায়ানামিক স্টাডি করিয়ে নিতে হবে। অনেকক্ষেত্রে ওষুধের মাধ্যমে উপকার পাওয়া যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে অপারেশনেরও প্রয়োজন হতে পারে। তবে চিকিত্‌সায় বিলম্ব করলে সমস্যা হতে পারে।