আমাদের অনেকেরই প্রায়ই মাথাব্যথা হয়। অনেকেই আবার নানা করণে টেনশনে থাকি, নানান রকম দুশ্চিন্তা আমাদেরকে কামড়ে ধরে, মাথা ভারী হয়ে থাকে  । এইসব কঠিন মুহূর্তগুলো,  খারাপ লাগার অনুভূতিগুলো সত্যিই খুব যন্ত্রণা দেয় আমাদের।

ওষুধ খেলে এগুলো থেকে সাময়িক মুক্তি পাওয়া যায়, কিন্তু সেজন্য অনেক সময় লাগে, লাগে অর্থও। যদি এমন হয়, মাত্র ৩০ সেকেন্ডে এই দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তাও আবার কোনো ওষুধপত্র ছাড়াই।

অসম্ভব মনে হচ্ছে? একদমই না বন্ধুরা। এটা একেবারেই সম্ভব একটা ব্যপার। আমরা অনেকেই জানি, ব্যথা ও রোগ নিরাময় করার জন্য ব্যবহৃত প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে আকুথেরাপি। মানবদেহের রোগ নির্ণয়, রোগ নিরাময় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয় আকুথেরাপি। শরীরে সুচের মতো চাপ প্রয়োগ করে আকুথেরাপি দেওয়া হয়। চীনসহ অনেক দেশেই এখনও প্রচলিত আছে আকুপাংচার পদ্ধতি।

কিন্তু ভয় পাবেন না, আপনার মাথাব্যথা আর টেনশন থেকে মুক্তি পেতে মাথায় সুই ফোটাতে হবে না।

মাত্র ৩০ সেকেন্ড বাম হাতের পয়েন্টে ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে ছবির মতো চাপ দিয়ে ধরে রাখুন। কাজ শেষ!

আর মুহূর্তেই অনুভব করুন মাথাব্যথা কোথায় পালিয়েছে, আর দুশ্চিন্তাও উধাও!

এই পদ্ধতি ভালো লাগলে চালিয়ে যান আপনার প্রয়োজন মতো। আর শেয়ার করে অন্যদেরকে ও জানার সুযোগ করে দিন।

মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার আরও ৮টি সহজ উপায় রয়েছে। এসব উপায় সাময়িক মুক্তি দেয় বটে, কিন্তু কিছু অভ্যাস রপ্ত করে নিলে আপনি মাথাব্যথা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন সারা জীবন-

১. প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যান। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।

২. হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত চলাচল ভাল হবে, ফলে মাথাব্যথা দূর হবে।

৩. চিন্তা মুক্ত থাকুন ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

৪. কফি কিংবা চা পান করতে পারেন। চা ও কফিতে বিদ্যমান ক্যাফেইন মাথাব্যথার অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।

৫. লবঙ্গ গুঁড়ো করে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে ঘ্রাণ নিন। এতে মাথাব্যথা কমে যাবে।

৬. হালকা গরম জলে হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। ফলে মাথাব্যথা কমে যাবে।

৭. একটানা কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে কাজ করবেন না। মাঝে মাঝে চোখকে বিশ্রাম দিন।

৮. মাথা, কপাল ও ঘাড় ভালমতো ম্যাসাজ করুন। এতেও মাথাব্যথা দূর হবে।