রোজায় ছোলার উপকারিতা !!!
রমজান মাস এলেই যে উপকরণটি ছাড়া ইফতারই হয় না, তা হচ্ছে ছোলা। ইফতারে মুড়ি, পেঁয়াজু, ও চপের সাথে এ উপকরণটি না থাকলে চলেই না। ছোলা খেতে সুস্বাদু এবং খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে।
ছোলার পুষ্টিগুণ তুলে ধরা হলো :
রক্তচাপ কমায়
জাতীয় স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি পরীক্ষার জরিপ অনুযায়ী ছোলার লো-সোডিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া ছোলার ভিটামিন-বি হৃৎপিণ্ডের দুর্বলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
হার্ট ভালো রাখে
উচ্চ ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন বি-৬ কন্টেন্ট, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এর ডাল ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৪ হাজার ৬৯ মিলিগ্রাম ছোলা খেলে হৃদরোগ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৯ শতাংশ কমে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
সেলেনিয়াম, যা সাধারণত ফলমূল ও শাকসবজি উপস্থিত থাকে; তা ছোলাতেও পাওয়া গেছে। এটা লিভারের এনজাইম ফাংশনে একটি ভূমিকা পালন করে, ফলে শরীরের ক্যান্সার ঝুঁকি কমে যায়। এ ছাড়াও এটি প্রদাহ ও টিউমার কমিয়ে দেয়।
কোলেস্টরেল কমায়
ছোলা শরীরের অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টরেল কমিয়ে দেয়। ছোলার ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগই পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া ছোলায় আরও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ।
কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করে
ছোলায় খাদ্য-আঁশও আছে বেশ। এ আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী। খাবারের আঁশ হজম হয় না। এভাবেই খাদ্যনালী অতিক্রম করতে থাকে। তাই পায়খানার পরিমাণ বাড়ে এবং পায়খানা নরম থাকে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
ডায়াবেটিসে উপকারী
১০০ গ্রাম ছোলায় আছে প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল।
প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এ ছাড়াও আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। এ সবই শরীরের জন্য কাজে লাগে। ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি আমিষের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। ছোলাতে আমিষের পরিমাণ মাংস বা মাছের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান। তাই খাদ্য তালিকায় ছোলা থাকলে মাছ মাংসের প্রয়োজন পড়ে না।