ধূমপায়ীরা ফুসফুস পরিষ্কার করতে মানতে পারেন এই প্রক্রিয়া !!!
ধূমপান ফুসফুসকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে ফুসফুসে বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। ধূমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যান্সারও হতে পারে। তবে সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়, কিছু বিষয় রয়েছে যা ধূমপায়ীদের ফুসফুস পরিষ্কারে সাহায্য করবে। এই পদ্ধতিগুলো মেনে চললে খুব সহজেই ধূমপায়ীরা ফুসফুস পরিষ্কার করতে পারবেন। লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এই পদ্ধতির কথা।
* পুদিনা পাতা
ফুসফুস পরিষ্কারের জন্য খাদ্য তালিকায় পুদিনা পাতা রাখুন। পুদিনা পাতায় যে উপাদান রয়েছে তা ফুসফুসের যেকোনো সংক্রমণের সাথে লড়াই করে।
* আনারস
খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এ দুটি উপাদান প্রাকৃতিকভাবেই ফুসফুস পরিষ্কার করে। তাই আনারসের জুস এবং ক্র্যানবেরির জুস নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন। এসব ফলের জুসেই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি।
* আদা
ঠান্ডায় নাক বন্ধ হওয়া রোধে ঘরোয়া দাওয়াই হলো আদা। তবে ধূমপায়ীদেরও ফুসফুস পরিষ্কার করতে পারে আদা। প্রতিদিন এক টুকরো আদা চিবুলে শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুস থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়ে যায়।
* গাজরের জুস
ফুসফুসকে পরিষ্কার করতে গাজরের জুস পান বেশ সাহায্য করে। প্রতিদিন দুই বেলা এই জুস খেলে ফুসফুস পরিষ্কার থাকে।
* লেবুর শরবত
লেবুর শরবত প্রতিদিন খেলে ফুসফুস শক্তিশালী হয় এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়।
* গ্রিন টি
গ্রিন টি খুব উপকারী সবার ক্ষেত্রেই। এই শক্তিশালী চা অন্ত্রের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। এই বিষাক্ত পদার্থই আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী।এ ছাড়া প্রতিদিন গ্রিন টি পান ফুসফুসকে পরিষ্কার করে।
* যোগব্যায়াম
গভীর শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে ফুসফুস শক্তিশালী হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে ফুসফুস পরিষ্কার হয়।
* দুগ্ধ জাতীয় খাবারে না
ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে হলে দুগ্ধজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। কারণ দুধ জাতীয় খাবার পরিষ্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
তবে ফুসফুসকে একেবারেই পরিষ্কার করতে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। দেখুন, চেষ্টা করে ছাড়তে পারেন কি না এই বাজে অভ্যাস।