খালি পায়ে দৌঁড়ান, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ান !!!
জুতা পরে দৌঁড়ানোর চেয়ে খালি পায়ে দৌঁড়ালে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এতে আপনার মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা ও তথ্য পরিচালন ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ফ্লোরিডার একদল গবেষক এই গবেষণা পরিচালনা করেন। এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আইএএনএস।
মস্তিষ্কের যে অংশে তথ্য সরবরাহ ও স্মৃতি জমা হয় সে অংশকে সাধারণভাবে কার্যকর মেমোরি বা ওয়ার্কিং মেমোরি বলা হয়। একটা মানুষের পুরো জীবনব্যাপী ওয়ার্কিং মেমোরি কাজ করে চলে। এর কার্যকর উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে জীবনের গুণগত মানোন্নয়ন সম্ভব। যা আমাদেরকে আরো বেশি উপযুক্ত করে তুলতে পারে।
গবেষণা দলের একজন গবেষক ট্রেসি এলোওয়ে বলেন, ‘ওয়ার্কিং মেমোরি মানব মস্তিষ্কের একটি জটিল ও দুরূহ ডেভেলপমেন্ট স্কিল হিসেবেই অধিক পরিচিত। আর তাই যাঁরা তাঁদের মস্তিষ্কের এ অংশের উন্নয়নের একটি সহজ উপায় খুঁজছিলেন তাঁদের জন্য এ গবেষণার ফলাফল একটি দারুণ খবর।’
গবেষকরা ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৭২ জনের ওপর গবেষণা চালান। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের তাঁদের পছন্দমতো জায়গায় প্রায় ১৬ মিনিট জুতাসহ ও জুতা ছাড়া দৌড়াতে বলেন।
‘পারসেপচুয়াল অ্যান্ড মটর স্কিলস’ জার্নালে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, খালি পায়ে দৌড়ানোর পরে ওয়ার্কিং মেমোরি জুতাসহ দৌড়ানোর তুলনায় প্রায় ১৬ ভাগ বেশি কার্যক্ষম হয়। জুতা পরে দৌড়ালে বস্তুত ওয়ার্কিং মেমোরির তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না।
নর্থ ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির আরেকজন গবেষক রস এলোওয়ে বলেন, ‘যদি আমরা জুতা খুলে দৌড় শুরু করি তাহলে আমাদের শেষটা শুরুর তুলনায় বেশি স্মার্ট হবে।’
ফলাফলের ব্যাখ্যায় রস বলেন, ‘আমরা যখন খালি পায়ে দৌঁড়াই তখন পায়ে বিভিন্ন আঘাত থেকে বাঁচতে পথের বাধাগুলোর প্রতি নিয়ত নজর রাখি এবং সেগুলো থেকে বাঁচতে সচেতনভাবে পদচালনা করি। যা আমাদের এই ফলাফলের ভিন্নতা এনে দেয়।’