৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রবিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

হার্ট অ্যাটাকের পরে ভুলেও করবেন না এই কাজগুলা !!!

হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক সাধারণ আর দশটি রোগের মত নয়। খুব সাধারণ কিছু লক্ষণ থেকে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। আবার কোন লক্ষণ ছাড়াও হয়ে যেতে মাইনর হার্ট অ্যাটাক।
হার্ট অ্যাটাকের পরে ভুলেও করবেন না এই ৭টি কাজ
একবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেলে রোগীকে একটু বেশি সচেতন থাকতে হয়। কারণ এরপরের বার মেজর অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর পরিবর্তন করতে হয় লাইফ স্টাইল, ত্যাগ করতে হয় কিছু অভ্যাস।
১. ধূমপানঃ
আপনি যদি অধূমপায়ী হয়ে থাকেন, তবে এটি আপনার জন্য নয়। ধূমপান হৃদযন্ত্র থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার প্রভাবিত করে থাকে এবং এর সাথে ধমনী ব্লক করে থাকে। তাই হার্ট অ্যাটাকের পরে অতি দ্রুত ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।
২. পরিপূর্ণ এবং ট্রান্স ফ্যাটঃ
ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এই খাবারগুলো ধমনীর গায়ে দেওয়াল তুলে দেয় এবং হৃদযন্ত্রে রক্ত পৌঁছাতে বাঁধা দিয়ে থাকে। জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৩. চিনি এবং লবণঃ
চিনি এবং চিনি জাতীয় খাবার যেমন চকলেট, পেস্ট্রি, মিষ্টি খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে। যা রক্ত ঘন করে রক্তনালী বন্ধ করে দেয়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে হার্টের রোগীদের লবণ একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত খাওয়া উচিত। তারদের প্রতিদিন ১৫০০ মিলিগ্রামের নিচে লবণ খাওয়া উচিত।
ohabitlogo৪. কোলেস্টেরলের মাত্রাঃ
বিশেষজ্ঞদের মতে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করোনারি অ্যাটাকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা ১৮০ এমজি তে রাখার চেষ্টা করুন। কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি করে এমন খাবার যেমন মাখন,ঘি, তেল ইত্যাদি অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৫. শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে যাওয়াঃ
অনেকেই হার্ট অ্যাটাকের পরে শারীরিক পরিশ্রম অথবা ব্যায়াম এড়িয়ে চলেন। কিন্তু হালকা ব্যায়াম করা হার্টের জন্য ভাল। আপনি প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে পারেন। তা হতে পারে সাইক্লেনিং, সাঁতার অথবা হাঁটা।
৬. উচ্চ রক্তচাপঃ
American Heart Association এর মতে উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে থাকে। রক্তচাপ ১৪০ থেকে ১৯০ এর মধ্যে থাকা উচিত। যদি এটি উঠানামা করে তবে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৭. অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা এড়িয়ে চলাঃ
ডায়বেটিস বৃদ্ধি, হাইপারটেনশন, ডিপ্রেশন, হাইপোথাইরয়েডিজম ইত্যাদি সরাসরি হৃদযন্ত্রে প্রভাব ফেলে থাকে। তাই অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।
হার্টের রোগীদের অন্য দশজনের থেকে একটু বেশি সাবধানে থাকতে হয়। ছোট একটি ভুল বা অসাবধানতা বাড়িয়ে দিতে পারে মৃত্যু ঝুঁকি।

Comments

comments