পুরুষের মিলনে সময় বাড়ানো এবং নারীদের পুর্ন তৃপ্তি লাভে পিসি পেশী দৃঢ় করার কিছু ব্যায়াম !!!
পুরুষের মিলনে সময় বাড়ানো এবং নারীদের পুর্ন তৃপ্তি লাভে পিসি পেশী (pubbococcygeus, or PC muscle) দৃঢ় করা কতটা জরুরী? পিসি পেশী দৃঢ় করার ব্যায়াম সমুহ কি?
যে সকল নারী যৌনমিলনকালে ওরগ্যাজম তথা পুর্ন তৃপ্তি অর্জনে সমস্যার সম্মুক্ষীন হন তাদের জন্য সাধারন কয়েকটি ব্যায়ামের মধ্যমে ভাল ফলাফল পাবার মত সমাধান আছে। একই রকম ব্যায়ামে পুরুষের লিঙ্গত্থান এবং বীর্জস্থলন নিয়ন্ত্রনে কাজে আসে।
মিলনকালে নারীর তৃপ্তির অপুর্নতা বিশ্বজোড়া পরিলক্ষিত, ৩৩% থেকে ৮০% পর্যন্ত নারী মিলনকালে পুর্নতৃপ্তি থেকে বঞ্চিত। ডাক্তারগন নিশ্চিত করেছেন যে পিসি পেশী (pubbococcygeus) সংকোচন ক্ষমতার সাথে শাররীক মিলনে নারীর পুর্ন তৃপ্তি পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত।
যদিও পিসি পেশী পাশ্ববর্তী অন্য চারটি পেলভিক পেশী (pelvic muscles) এর বুননের সমন্বয়ে ঘঠিত, এটি পেলভিক পেশীর প্রধান পেশী কলা। যখন পিসি পেশী স্বাস্থ্যবান এবং সুঠাম, এটি শক্ত লম্বাকার থাকে। আর যখন দুর্বল, তখন পিসি এবং পেলভিক অঙ্গ নরম এবং মাঝ ঝুল ধরে থাকে – যার ফলশ্রতিতে urinary incontinence সহ অন্যান্য যৌন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
পেলভিক ব্যায়াম তথা পিসি পেশী দৃঢ় করার ব্যায়ম কিভাবে করবেন?
পিসি ব্যায়াম খুবই সহজ! এটি deceptive ও, কারন সামান্য নাড়াছাড়ায় বিশাল লাভ হতে পারে – একই সাথে ভুল পেশীতে এর কাজ হয়ে যেতে পারে। পিসি পেশী অন্যসকল পেশীর মতই, অতিরিক্ত ব্যায়াম এ পেশীর জন্য বেদনাদায়ক হয়ে যেতে পারে।
পিসি পেশী প্রায় ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি চওড়া হতে পারে – যখন এটি সম্পুর্ন ডেভলপড্। নারীদের ক্ষেত্রে এই পেশীটি যৌনাঙ্গের ২ ইঞ্চি ব্যাসার্ধে গোলাকার অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত। এর প্রায় সবগুলো শিরা যৌনাঙ্গে গিয়ে শেষ হয়, যা যৌন অনুভুতির উৎস।
![1](https://healthdoctorbd.com/wp-content/uploads/2016/04/1-4-300x272.jpg)
![2](https://healthdoctorbd.com/wp-content/uploads/2016/04/2-1-300x273.jpg)
![3](https://healthdoctorbd.com/wp-content/uploads/2016/04/3-1-300x271.jpg)
![4](https://healthdoctorbd.com/wp-content/uploads/2016/04/4-1-300x267.jpg)
![5](https://healthdoctorbd.com/wp-content/uploads/2016/04/5-2-300x271.jpg)
ব্যয়াম শুরুর আগে আপনাকে প্রথমে পিসি পেশী চিনতে হবে। প্রস্রাবের বেগ থাকা অবস্থায় টয়লেটে গিয়ে পা যথাসম্ভব ছড়িয়ে বসুন। এবার প্রস্রাব বন্ধ করুন এবং পুনরায় চালু করুন। অর্থ্যাৎ থেমে থেমে প্রস্রাব করুন। লক্ষ্য করুন কোন পেশীটি সংকোচনের ফলে আপনার প্রস্রাবের বেগ নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হচ্ছেন। এভাবে অন্ততঃ তিনবার রিপিট করলে আপনার মস্তিস্ক পিসি পেশীর অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার হবে।নারী তার পিসি পেশী নিশ্চিত করার জন্য কমোডে কিংবা চেয়ারে পা ফাঁক করে বসে যৌনাঙ্গে তর্জনী আঙুল দিয়ে পায়ু এবং যোনীর মাঝের অঞ্চলটি সংকোচন করে দেখতে পারেন। যে অঞ্চল সংকোচনের ফলে যোনীমুখ আঙুলকে আঁকড়ে ধরেছে মনে হয় – তা ই পিসি পেশী। এই ব্যায়াম শুরুর আগে মুত্রথলী সম্পুর্ন খালি করে নিতে হবে।
ব্যায়ম ০১:
চেয়ারে বসা অবস্থায় অথবা শুয়ে থাকা অবস্থায় আপনার পিসি পেশীকে আনুমানিক ৩ সেকেন্ডের মত Squeeze (নিষ্পেষণ) করে ধরে রাখুন… তার পর স্বাভাবিক অবস্থায় ছেড়ে দিন। এভাবে পুনরায় করুন। আপনি এ ব্যায়ামটি দিনে যত বার ইচ্ছে ততবার করতে পারেন। তবে সর্বনিন্ম ২৫ বার পুনরাবৃত্বি করা উত্তম। যদি আপনি ব্যায়াম করতে বেশি ব্যাথা অনুভব করেন, তাহলে কয়েক দিনের জন্য বিরতী দিন।
ব্যায়াম ০২:
এ পদ্ধতির ব্যায়ামের জন্য পিসি পেশীকে সংকোচন করে আবার পুর্বের অবস্থানে ছেড়ে দিন। একসাথে সর্বনিন্ম দশবার সংকোচন করে ছেড়ে দেয়ার পুনরাবৃত্তি করুন – পেশীটির সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে। মিলন কালে পুর্নতৃপ্তির অবস্থানে সংকোচনের এ ব্যায়ামটি করলে অধিক কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যাবে।
ব্যায়াম ০৩:
পিসি পেশীকে যথাসম্ভব সংকোচিত করে ১০ সেকেন্ডের জন্য ধরে রাখুন। সংকোচনের শেষ দিকে (৮/৯ সেকেন্ডের মাথায়) প্রবল এবং গভীর ভাবে Squeeze (নিষ্পেষণ) করুন। তারপর ১০ সেকেন্ডের বিরতি নিন। আবার পুর্বের মত পুনরাবৃত্তি করুন। এভাবে ২০ রিপিট করতে পারেন (যদি ব্যাথা কিংবা অন্যকোন সমস্যা অনুভুত না হয়)।
উপরের সবগুলো ব্যায়াম প্রায় অনিদ্দিষ্টকালের জন্য চলমান রাখতে পারেন। এটি দিনের যেকোন সময় যেকোন স্থানে করতে পারেন। এই ব্যয়ামটি করার সময় অন্য কেউ দেখতে পায়না, তাই অফিস কিংবা ক্লাসেও করতে সমস্যা হয়না। পিসি পেশী স্বনিত হত্তয়ার ফলে মিলনকালে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ে অধিক আনন্দলাভে সক্ষম হবেন। পুরুষ এই ব্যায়ামের ফলে তার বীর্যস্থলন নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হবেন, যার ফলশ্রুতিতে যৌন মিলনের সময় ব্যাপ্ত হবে। সব কিছুর-ই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এবং অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন আপনি সঠিক পেশীটির ব্যায়াম করছেন (ছবির সাথে মিলিয়ে দখেনু – পিসি পেশী কোনটি?)। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়। ব্যায়ামের ফলে যদি কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তবে অবশ্যই কিছুিদনের জন্য বিরতি দিন।
এ বিষয় তথা পিলভিক ফ্লোর এ্যাক্সরসাইজ নিয়ে আরো বিশধ বর্ণনা নিয়ে পরবর্তীতে আবার পোষ্ট করার প্রত্যাশা আছে।
Related Posts
Comments
comments