৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

গরমে যেভাবে শিশুকে সুস্থ রাখবেন

আবাহাওয়াতে চলছে তীব্র গরম হাওয়া। এই সময় বড়দের শরীর ঠিক রাখায় দুষ্কর। সেখানে ছোটদের অবস্থা আরও শোচনীয়। তারা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যায়। এ সময় শিশুর খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে গোসল ও পোশাক নির্বাচনেও বিশেষ যত্নবান হতে হবে।

গরমে শিশুরা বড়দের তুলনায় অনেক বেশি ঘেমে যায়। তবে শিশুর প্রতি বিশেষ যত্নবান হলে এসব সমস্যা সহজেই এড়ানো সম্ভব। গরমে শিশুদের সাধারণত যে সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে তা হচ্ছে জলবসন্ত, র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি, পেট খারাপ, ত্বকের অসুখ, ঠাণ্ডার সমস্যা বা হামস।

* জলবসন্ত 
এ সময়টায় শিশুদের জলবসন্ত হয়ে থাকে। এটা সাধারণত এক থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের বেশি হয়। তবে চিকেন পক্সের টিকা নেয়া থাকলে এ রোগটি হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। এ অসুখের সময় শিশুর বিশেষ যত্ন নিতে হবে। তাকে নরম সুতি কাপড় পরাতে হবে। টাটকা এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। এর সঙ্গে অবশ্যই মায়ের দুধ অব্যাহত রাখতে হবে।

* ত্বকে ফুসকুড়ি
শিশুদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। এটা সাধারণত ঘামাচি বা চামড়ার ওপরে লাল দানার মতো ফুসকুড়ি হয়ে থাকে। এই কারণে শিশুকে অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে। ফুসকুড়ির জায়গাগুলোতে বেবি পাউডার লাগাতে পারেন। এছাড়া প্রতিবার কাপড় বদলানোর সময় শিশুকে নরম ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে পাউডার লাগিয়ে দিতে হবে। অনেক সময় ডায়াপারের কারণেও শিশুর ফুসকুড়ি হতে পারে। তাই খেয়াল রাখতে হবে, ভেজা ডায়াপার যেন শিশুর গায়ে বেশিক্ষণ না থাকে। অনেক সময় র‌্যাশ বেশি হয়ে গেলে ঘা হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ohabitlogo

* পেট খারাপ
গরমের সময় সাধারণত শিশুদের বেশি পেট খারাপ হয়ে থাকে। শিশুর পেট খারাপ হলে তাকে ঘন ঘন স্যালাইন খাওয়াতে হবে। সেইসঙ্গে পানি অথবা ডাবের পানি খাওয়াতে হবে। একই সঙ্গে তাকে তরল খাবারও দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত শিশুর পায়খানা স্বাভাবিক না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শিশুর পানিশূন্যতা না হয়। তার প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকতে হবে।

* ঠাণ্ডার সমস্যা
গরমে শিশুদের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডার সমস্যাটাও বেশি হতে দেখা যায়। গরমে অতিরিক্ত ঘামের ফলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। তাই শিশু ঘেমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার শরীর মুছে দিয়ে কাপড় বদলে দিতে হবে। এ সময় ঠাণ্ডা লেগে শিশুর হামস হতে পারে। হামস অনেক সময় অল্প দিনে সেরে যায়। কিন্তু বেশি দিন গড়ালে শিশুকে এমএমআর ইঞ্জেকশন দেয়া হয়। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো ব্যবস্থা নিতে হবে।

* শিশুর চুলের যত্ন
এই গরমে শিশুর চুলের দিকেও নজর দিতে হবে। গরমে চুলের গোড়া ঘেমে যায়, সঙ্গে ধুলাবালির আক্রমণ তো রয়েছেই। তাই রোগ প্রতিরোধে প্রথমেই শিশুদের চুলের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমে চুলের ত্বকে খুশকি বা ঘামাচি বের হয়। তাই গরমের শুরুতেই চুল ছেঁটে ছোট করে দিতে হবে। এতে চুলের গোড়া ঘামওে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

Comments

comments