কর্মজীবী নারীর সঠিক খাদ্যাভ্যাস হওয়া উচিত !!!
আজকের কর্মজীবী নারীরা নিজেদের ঘর এবং কর্মক্ষেত্র দুই জায়গাতে থাকেন সমান ব্যস্ত। কিন্তু অধিকাংশ নারী নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি ঠিকমতো নজর দেন না। এতো কাজ সামলে নিজের প্রতি অবহেলা চরম দুর্ভোগে ফেলতে পারে। অথচ কাজের দক্ষতা, সফলতা আনতে তাদের মানসিক ও শারীরিক উভয়ক্ষেত্রে সামর্থ্য থাকা চাই। সামর্থ্য ধরে রাখতে ঘরে-বাইরে কাজ করেও যেন তারা হাঁপিয়ে না ওঠেন। তাইতো কর্মজীবী নারীরা সুস্থ থেকে সফলভাবে কাজ করার জন্য একটি সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করতে পারেন।
কাজের মাঝে প্রতি দুই ঘণ্টায় অন্তত ৫ থেকে ১৫ মিনিট নিজের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। যারা ডেস্কে কাজ করেন তাদের অবশ্যই প্রতি দুই ঘণ্টা পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে হবে। এতে শরীরের সব স্থানে অক্সিজেন সরবরাহ ঘটে। হাঁটাহাঁটি না করলেও প্রতি আধা ঘণ্টা পর ২ মিনিটের জন্য হলেও দাঁড়াতে হবে। ডেস্কে বসার জায়গাটি অবশ্যই আরামদায়ক কিনা তা দেখতে হবে। প্রতিদিন কর্মজীবী নারীদের কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
প্রতিদিন কাজে বের হওয়ার আগে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার গ্রহণ করতে হবে। কেননা সকালের নাশতার উপাদানই আমাদের রক্তের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। কর্মজীবী নারীদের খাবারের প্লেট থাকা উচিত সবুজ শাকসবজি। খাবারের ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট একজন কর্মজীবী নারীকে রাখে সঠিক ওজনসম্পন্ন, সক্রিয় ও সতেজ। একটি ফল বা এক গ্লাস ফলের রস পান করে বের হতে হবে। ফলের রস সারাদিনে খাবার হজমে সহয়তা করবে, ওজনও কমাবে। সকালের সঠিক নাশতা ডায়াবেটিসের হাত থেকেও রক্ষা করে।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার রাখতে হবে। ভিটামিন সি শরীরের চর্বি ভাঙতে সহয়তা করে। কমলা, পেয়ারা, আমলকি প্রভৃতি ফলে প্রচুর ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
খাদ্য তালিকায় এক কাপ দুধ রাখাটা জরুরি। কর্মজীবী নারীদের সহকর্মী বা অফিস কর্তৃক নানা পার্টিতে অংশগ্রহণ করতে হয়। আজকাল পার্টিতে বুফে খাবার পরিবেশন করা হয়। এক্ষেত্রে ফাস্ট ফুড কম গ্রহণ করার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
অ্যালকোহল বা ক্যাফেইন গ্রহণ করা উচিত নয়। কেননা অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা ক্যাফেইন গ্রহণ শরীরের হরমোনের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটায় এবং ক্যালসিয়াম কমিয়ে দেয়।