ওজন কমানো নিয়ে আর নয় চিন্তা
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই অনেক কিছুই করে থাকেন। কেউ কম খান কেউবা পরিমিত খাওয়া শুরু করেন। এতে অনেক সময় উল্টো ফলও দেখা দেয়। তবে হতাশ হওয়ায় কোনো কারণ নেই।
কারণ বিজ্ঞানীরা গবেষণার পর দাবি করেছেন, তরমুজ, পেয়ারা ও নাশপাতিসহ ৭ ধরনের ফল নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে খেলে ওজন কমতে সাহায্য করে। ওজন কমানো নিয়ে যারা চিন্তিত তাদের জন্য এটা সুখবরই।
ফলের গুনাগুণ বর্ণনা করে বলা হয়েছে, ফলমূল অবসাদ দূর করে এবং সুস্বাদু। ফল ফাইবার সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক চিনিও থাকে। ফল ক্ষুধা থেকে ব্যক্তিকে দূরে রাখে। আপনার খাদ্যতালিকায় ফল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ফলে ফাইবার এবং পেকটিন থাকার কারণে চর্বি কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। উপরন্তু, ফলে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরে চর্বি এবং ক্যালরি জমে না।
সম্প্রীতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণার পর জানিয়েছেন, প্রতিদিন ফল খেলে ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে পারা যায়। যারা ওজন কমাতে চান, চিকিৎসকেরা তাদের প্রতিদিন এসব ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
* তরমুজ
গরম পড়লেই বাজারে দেখা মেলে তরমুজের। রসে ভরপুর এই ফলে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩০ ক্যালরি আছে। তরমুজ আপনার শরীরকে জলয়োজিত করে রাখে। গরমের তৃপ্তিদায়ক ফল তরমুজে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
* পেয়ারা
ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। হজমের জন্য উপকারী ফল পেয়ারা ওজন হ্রাসে সাহায্য করে।
* নাসপাতি
ভিটামিন সি’র অন্যতম বড় একটি উৎস নাসপাতি। ওজন কমানোর জন্য অনেকের কাছে প্রথম পছন্দের ফলও এটি। ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফল দীর্ঘ সময়ের জন্য পেটে থাকে। হজম হয় ধীরে ধীরে। এ ছাড়াও শরীরের কোলেস্টেরল মাত্রা ঠিক রাখার জন্য পরিচিত ফল হচ্ছে নাসপাতি।
* কমলালেবু
কম ক্যালরির ফল কমলা। প্রতি ১০০ গ্রাম কমলায় ক্যালরির পরিমাণ ৪৭। শরীরের ক্ষতিকর ক্যালরিগুলো থেকে আপনাকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে এই ফল। সহজ ভাষায় বলা যায় এই ফল আপনার অনেক ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
* ব্লুবেরি
উত্তর আমেরিকার এক ধরনের ফল হলো ব্লুবেরি। জনপ্রিয় এই ফলটি সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সাহায্য করে ব্লুবেরি। নিয়মিত এই ফল খেলে ইনসুলিন প্রতিরোধ, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমায়।
* স্ট্রবেরি
শুধু দেখতে সুন্দর নয় ফলটিও ওজন কমানোর জন্য বেশ কাজের। শরীরে চর্বি কমানোর হরমোন এডিপোনেকটিন এবং লেপটিন তৈরিতে স্ট্রবেরি কাজ করে।
* পিচ
ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন এসব খাবার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে। তাজা ও টাটকা এসব ফল লো-ক্যালরির। নিয়মিত এসব খেলে অন্য খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাস কমে আসবে। সকালে নাস্তা, দুপুরে সালাদ এবং রাতে ডেজার্ট হিসেবেও এসব খাবার খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া সারা দিনে খাওয়া যেতে পারে।
Related Posts
Comments
comments