১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

৬০ সেকেন্ড ব্যায়ামেই সুস্বাস্থ্য অর্জন সম্ভব! (ভিডিও)

এক মিনিট বা ৬০ সেকেন্ড ব্যায়ামেই কি সুস্বাস্থ্য সম্ভব। ব্যস্ততা বা অলসতার কারণে অনেকেই দিনে শরীরচর্চার যথেষ্ট সময় পান না। ব্রিটেনের ৮০ শতাংশ মানুষই এই দলে। এমন ব্যক্তিদের জন্য এক মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করার কোনো ব্যায়াম থাকলে ভালোই হতো।

যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদের মতে, সপ্তাহে ১১৫ মিনিট শরীরচর্চা হলো আদর্শ। তবে কয়েক মিনিটের ভারী শরীরচর্চাতেই সুস্বাস্থ্য অর্জন সম্ভব। এই ভারী ও স্বল্প সময়ের শরীরচর্চাকে বলা হয়, ‘হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং’ সংক্ষেপে এইচআইআইটি বা হিট। এমন শরীরচর্চায় সপ্তাহে কয়েক মিনিট সময় লাগে। অর্থাৎ দিনে এক মিনিট হলেও চলে। এমন শরীরচর্চা বিজ্ঞান সম্মতও বটে।

বিবিসি জানিয়েছে, গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই স্বাভাবিক শরীর চর্চা ও হিটের মধ্যে তুলনামূলক গবেষণা চালাচ্ছেন। আর হিট সম্পর্ক এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যগুলো ইতিবাচক।

বিবিসির প্রতিবেদক ও চিকিৎসক মাইকেল মোসলে নিজের ওপরই হিটের পরীক্ষা চালান। নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটির গবেষকদের শরণাপন্ন হন তিনি। গবেষকরা তাঁর ওপর কয়েকটি পরীক্ষা করেন। গবেষকদের নির্দেশ অনুযায়ী মাইকেল মোসলে প্রতিদিন ২০ সেকেন্ড করে তিন সেটে ৬০ সেকেন্ড সর্বোচ্চ শক্তি খরচ করে স্টেশনারি বাইক (একই স্থানে থেমে থাকা সাইকেল) চালান।

এভাবে ছয় সপ্তাহ শরীর চর্চা করেন মাইকেল মোসলে। পরে আবার নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাঁর শরীর পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায়, তাঁর শরীরে শর্করা ও শারীরিক কার্যক্রমের ওপর বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে হিট।

গবেষণা অনুযায়ী, হিটের মাধ্যমে মানুষর শরীরে কার্যক্ষমতা বাড়ে। একই সঙ্গে বাড়ে হৃৎপিণ্ড ও ফুসের ক্ষমতাও। হিটে কোষের মাইটোকন্ড্রিয়ার ক্ষমতা বাড়ায় এসব পরিবর্তন দেখা যায়। একই সঙ্গে হিটে এমন কিছু হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

হিটে সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলেও এমন শরীরচর্চার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত বলে মনে করেন গবেষকরা।

Comments

comments