অ্যাসিডিটি, প্রচণ্ড বুক ও পেট জ্বালাপোড়া জেনে রাখুন ঝটপট সমাধান !!!
ঈদের ছুটি শেষ হয়ে গেলেও ঈদের আমেজ এখনো চলে যায় নি। সেই সাথে এখনো কমেনি ঈদ আয়োজনের নানা পদের খাবার খাওয়ার ধুম। কিন্তু কোরবানির ঈদের এই অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে অ্যাসিডিটির অর্থাৎ বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
অ্যাসিডিটির সমস্যায় প্রচণ্ড বুক ও পেট জ্বালাপোড়া করতে থাকে যা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক। এই অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে অনেক ধরণের ঔষধ ও কেমিক্যালজাতীয় ইনস্ট্যান্ট পানীয় পাওয়া যায়। যার রয়েছে ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যতোটা সম্ভব প্রাকৃতিকউপায় ব্যবহার করাই ভালো। তাহলে আজকে জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে দ্রুত এই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়।
যা করবেন এবং যা করবেন না
- – দ্রুত কলা বা আপেল যে কোনো একটি ফল খেয়ে নিন। অ্যাসিডিটি অনেকটাই কমে যাবে।
- – শুয়ে থাকবেন না। থুঁতনি উঁচু করে রাখুন। এতে গ্যাসের সমস্যার কারণে বুক জ্বলা কমে যাবে।
- – তাড়াহুড়ো করে গোগ্রাসে খাবার গিলবেন না। ধীরে সুস্থে খাবার চিবিয়ে খাবেন। গোগ্রাসে গিলে ফেললে খাবার হজম হতে সমস্যা হয় যার কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
- – খাবারে যতো অনিয়ম হয় ততো অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই খাবারের সময়টা একটু নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
তাৎক্ষণিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক সমাধানগুলো অবলম্বন করতে পারেন যা খুবই সহজলভ্য এবং কার্যকরী।
১) আদা চা
যদি খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে এক কাপ আদা চা পান করে নিতে পারেন তাহলে খাওয়ার পর একেবারেই বুক জ্বলার সমস্যায় ভুগবেন না। খাওয়ার পর বুক জ্বলা শুরু হয়ে গেলেও আদা চা পান করার ফলে খুব দ্রুত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
- – ১ ইঞ্চি ৩ খণ্ড আদা কুচি একটু ছেঁচে ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন।
- – ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে প্রায় ৩০ মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে নিন।
- – ছেঁকে এই পানীয় পান করুন। খাবার খাওয়ার আগে হলে ২০ মিনিট আগে পান করুন এবং পরে হলে বুক জ্বলা কমাতে পান করুন।
২) বেকিং সোডা
বেকিং সোডার সোডিয়াম বাই-কার্বনেট অ্যাসিডিটির সমস্যা খুব দ্রুত নিরাময়ে বিশেষভাবে সহায়ক। এর পিএইচ ৭ মাত্রার বেশী হওয়ার কারণে এটি পেটের অ্যাসিডকে শান্ত করে জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেয়।
- – আধা থেকে ১ চা চামচ বেকিং সোডা ১ গ্লাস পানিতে ভালো করে গুলিয়ে নিন। বেকিং সোডা এর চাইতে বেশী নেবেন না।
- – প্রয়োজনে এই পদ্ধতি দিনে ২/৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রতিদিন এই পদ্ধতি পালন করবেন না। সপ্তাহে ১/২ বার পান করতে পারেন।