চৈত্রের কাঠফাঁটা গরমেও শীতল থাকবে আপনার শরীর, ভালো থাকবে স্বাস্থ্য !!!
গ্রীষ্মের গরমে সুস্থ থাকতে অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশিই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হয়। এ সময় শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরে। আর ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় খনিজ পদার্থ। এই সময় শরীরে খনিজের ঘাটতি পূরণ এবং শীতল রাখতে বেশি করে তরল খাবার খেতে হয়। চলুন জেনে নেয়া গরমে শরীর শীতল রাখার কিছু টিপস।
১. দই: তিসি বীজের মতোই সুপারফুড হিসেবে পরিচিত দই। গ্রীষ্মের তাপে আরাম পেতে দই খুব উপকারী। ল্যাকটোজ বা দুগ্ধ শর্করা যাদের খেতে মানা তারা দই খেতে পারেন। এটি ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের অন্যতম উৎস। পূর্ণ ননিযুক্ত দুধ থেকে তৈরিকৃত দই ভিটামিন-ডি এবং বি১২ এর শক্তিশালী উৎস। প্রোবায়োটিকস বা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে দই। ক্রনিক রোগব্যাধির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে দই দারুণ কাজ করে।
২. বরফ চা: শরীর তরতাজা রাখার পানীয়। বরফ চা বায়ুমিশ্রিত পানীয়র একটি ভালো বিকল্প। কীভাবে বানাবেন? আপনার পছন্দমতো এক গ্লাস গরম চা নিন। এটি ঠাণ্ডা করুন। তারপর এতে কিছু বরফ কুচি, পুদিনা পাতা, লেবুর স্লাইস, স্ট্রবেরি বা অন্য ফল স্লাইস করে কেটে মিশিয়ে নিন। এই পানীয় আপনাকে সতেজ রাখতে সহায়তা করবে।
৩. মরিচ: শীতল থাকতে চাইলে মরিচ খান। ভাবছেন ঠাট্টা করছি! একদমই নয়। ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান জইনব গুলাম হুসেইন বলেন, মরিচের মধ্যে থাকা ক্যাপসাসিন গরম আবহাওয়ায় শরীরে উদ্দীপনা জোগায়। মরিচ দেহের রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ বাড়ায় এবং ঘাম নির্গত করে দ্রুত শরীর ঠাণ্ডা করে। খাবার খাওয়ার সময় লাল মরিচ ভেঙে খেতে পারেন। তাছাড়া, কাঁচা মরিচও খেতে পারেন।
৪. রসুনের রস: হিট স্ট্রোক থেকে দ্রুত উপশম পেতে রসুনের রস দারুণ কার্যকরী। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন এক চামচ রসুনের রস খান। এতে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং প্রখর সূর্যের আলো ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কোষগুলোকে রক্ষা করে। শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বুকে রসুনের রস ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া, জ্বালাপোড়া থেকে সৃষ্ট প্রদাহ প্রতিরোধ করে রসুনের রস। চাটনি বা সালাদেও রসুনের রস ব্যবহার করতে পারেন।
৫. তরমুজ: গ্রীষ্মের তাপদাহে চমৎকার সতেজতা জোগায় তরমুজের জুস। হিট স্ট্রোক নিরাময়ে দারুণ কার্যকর। তরমুজ লাইকোপেন সমৃদ্ধ। এই ফলের ৯০ শতাংশই পানি। ইলেকট্রোলাইটসের সবচেয়ে ভালো উৎস তরমুজ। অতিরিক্ত ঘামের কারণে সৃষ্ট খনিজ পদার্থের ঘাটতি পূরণ করে তরমুজ।
৬. ডাবের পানি: গরমে প্রশান্তি পেতে ডাবের পানির বিকল্প নেই। শরীর শীতল রাখতে ডাবের পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে। তাছাড়া, ডাবের পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ, প্রাকৃতিক এনজাইম, লৌহ, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে।
৭. বিশুদ্ধ পানি: গরমে ভালো থাকতে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সুরক্ষা প্রদান করে পানি। এটি আমাদের শরীরে শক্তি জোগায়, কিডনি সচল রাখে এবং তরলের ঘাটতি পূরণ করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করা উচিত। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ না থাকলে লেবুর শরবত বেশি বেশি পান করতে পারেন।
Related Posts
Comments
comments