৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

খেজুর রয়েছে অনেক গুণ!

খেজুর বেশ প্রচলিত পুষ্টিকর একটি খাবার। খেজুরের গুণের বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন স্কয়ার হসপিটাল লি.-এর পুষ্টিবিদ নুজহাত মঞ্জুর। তিনি বলেন, ‘খেজুর অত্যন্ত ক্যালরিবহুল একটি খাবার। এটি বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেলস ও আঁশসমৃদ্ধ। এই ভিটামিনগুলোর মধ্যে রিবোফ্লাবিন, নায়াসিন, থায়মিন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।’

পুষ্টিবিদ নুজহাত মঞ্জুর বলেন, ‘মিনারেলসগুলোর মধ্যে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম উল্লেখযোগ্য। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি আমাদের সবাইকে দৈনন্দিন ২০ থেকে ৩৫ গ্রাম আঁশজাতীয় খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। এটি আমরা খেজুর থেকেই গ্রহণ করতে পারি। এ ছাড়া সারা দিনে একটি খেজুর খাওয়া আমাদের চোখের সুস্থতা দান করে।’

‘খেজুর উচ্চ মাত্রার সলিউবল ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি প্রাকৃতিক ল্যাক্সাটিভ হিসেবে কাজ করে আমাদের বাউয়েল মুভমেন্টে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে,’ বলেন তিনি।

খেজুরে প্রচুর পরিমাণ মিনারেলস রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেমন : সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক ইত্যাদি থাকায়, এটি হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের হাড়ের অসুখ, অস্টিওপরোসিস থেকে রক্ষা করে। নিকোটিন নামক উপাদান খেজুরে থাকায় এটি আমাদের অন্ত্রের বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা করে।’

এ ছাড়া রক্তস্বল্পতা দূর করতে খেজুরের জুড়ি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খেজুরে প্রচুর আয়রন রয়েছে। এ ছাড়া একটি উপাদান খেজুরে রয়েছে, যেটি সচরাচর অন্যান্য খাবারে আমরা কম পাই। আর সেটি হলো অর্গানিক সালফার। এটি আমাদের বিভিন্ন সিজনাল অ্যালার্জি থেকে রক্ষা করে।’

পুষ্টিবিদ নুজহাত মঞ্জুর বলেন, ‘এ ছাড়া ওজন বাড়াতে খেজুরের জুড়ি নেই। একটি খেজুর থেকে আমরা ২৩ কিলোক্যালরি পেয়ে থাকি। ১০০ গ্রাম খেজুর থেকে আমরা ২৮২ কিলোক্যালরি পাই। এই থেকে আমরা বুঝতে পারি যে অল্প পরিমাণ খাবার থেকে যথেষ্ট ক্যালরি পেতে পারি। যাঁরা ওজন বাড়াতে চান বা পেশি বৃদ্ধি করতে চান, তাঁরা খেজুর খেতে পারেন।’

নুজহাত মঞ্জুর আরো বলেন, ‘খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক সুগার। যেমন : গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ। এটি কম সময়ে আমাদের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ডায়রিয়া হলে খেজুর একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। খেজুরে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে। এটি আমাদের ডায়রিয়া-পরবর্তী সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।’

রমজান মাসে সারা দিনের ক্যালরির ঘাটতি খেজুর দিয়েই পূরণ করতে পারি জানিয়ে তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের রোগীরাও অনায়াসে দুটো খেজুর খেতে পারেন। তাই দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

Comments

comments