১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সোমবার

Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Search in posts
Search in pages
Filter by Categories
Uncategorized
ইসলামী জীবন
ঔষধ ও চিকিৎসা
খাদ্য ও পুষ্টি
জানুন
নারীর স্বাস্থ্য
পুরুষের স্বাস্থ্য
ভিডিও
ভেসজ
যৌন স্বাস্থ্য
রান্না বান্না
লাইফ স্টাইল
শিশুর স্বাস্থ্য
সাতকাহন
স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য
স্বাস্থ্য খবর

দুঃস্বপ্ন থেকে রেহাই পেতে

রাতঘুমে দুঃস্বপ্ন দেখেন আপনি? মাঝেমধ্যে এ সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু নিয়মিত দুঃস্বপ্ন হানা দিলে তা মানসিক ও শারিরবৃত্তীয় সংকট তৈরী করবে। রাতের ঘুম নষ্ট হয় দুঃস্বপ্নের কারণে যা দিনের কাজের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তবু ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিছু পন্থা মেনে চললে খুব সহজেই আপনি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

দুঃস্বপ্ন কী ও কেন : বিভিন্ন কারনে দুঃস্বপ্ন হতে পারে। এন্টিডিপ্র্রেসেন্ট বা বিষণ্নতারোধী ওষুধ ব্যবহারের কারণে মস্তিস্কে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এ কারনে দুঃস্বপ্ন হতে পারে।এ ছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত ওষুধও অনেকক্ষেত্রে দুঃস্বপ্নের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতীতের মানসিক আঘাতজনিত স্মৃতি ও তাড়ণা এ ধরণের সমস্যা তৈরী করতে পারে।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ : দুঃস্বপ্নের কারণ সনাক্তে একজন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞের শরনাপণ্ন হওয়া আবশ্যক। ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’, আরইএম ডিসঅর্ডার, উদ্বেগ বা বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়ে থাকলে ডাক্তারকে খুলে বলুন ও পরামর্শ নিন।

চাপমুক্ত থাকুন : মানসিক চাপ নানা শারিরীক ও মানসিক সমস্যার জন্য দায়ী। চাপ বা উদ্বেগজনিত কারনে আপনার স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এ কারনে রাতঘুমে দুঃস্বপ্ন হানা দিতে পারে। তাই চাপমুক্ত থাকতে ইয়োগা, মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম কিংবা এমন কাজে ব্যস্ত থাকুন যা আপনাকে মানসিকভাবে শান্ত ও শিথিল রাখবে।

বেডরুমের পরিবেশ : ঘুমের ব্যাঘাত ও অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার কারনে দুঃস্বপ্ন সৃষ্টি হতে পারে।শোবারঘরের পরিবেশ পরিস্কার ও পরিপাটি রাখুন যা আপনাকে রিলাক্স রাখবে।বেডরুমের তাপমাত্রা রাখতে হবে স্বাভাবিক, খুব গরমও না, ঠাণ্ডাও না, সহনীয়।

নীল আলোর বাতি : বেডরুমে নীল আলোর বাতির ব্যবহারে আপনার ঘুমের ওপর ভালো প্রভাব ফেলবে। আর ঘুম যদি গভীর হয় আজেবাজে স্বপ্ন দেখার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।ঘুমের সময়ে গ্যাজেট ও মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন।

ভালো কিছু কল্পনা : আপনি যখনই দুঃস্বপ্নের কারণে আচমকা জেগে উঠবেন তখন আবার ঘুমানোর চেষ্টার সময় মনে মনে ভালো কিছু কল্পনা করুন। যেমন অতীতের ভালো কোন অভিজ্ঞতা বা ভ্রমণ স্মৃতি মনের দর্পনে অবলোকন করুন।

শেয়ার করুন : আর দুঃস্বপ্নের বিষয়টা বিশ্বস্ত কারো সাথে শেয়ার করুন। ভুলেও নিজের মধ্যে এ বিরূপ অভিজ্ঞতা চেপে রাখবেন না। শেয়ার করলে আপনার মনের ভিতরে মানসিক চাপজনিত সমস্যা কমবে। এমনকি সঠিক পরামর্শও পেতে পারেন আপনি।

Comments

comments