ধনী না হওয়ার দশ কারণ
সবারই ইচ্ছা থাকে তার কাছে প্রচুর অর্থ থাকবে। থাকবে সম্মান। যখন যা ইচ্ছা হবে তাই কিনতে পারবেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষের এ মনোবাসনা বাস্তবায়িত হয় না। তবে এটা কেন হয় তা জানলে অনেকেই অবাক হবেন। ভারতীয় শাস্ত্রমতে মানুষের কিছু বদ-অভ্যাসের কারণে বড়লোক হতে দেয় না। এরকম কিছু কারণ তুলে ধরা হলো-
বাথরুম নোংরা করা : কিছু মানুষ বাথরুম নোংরা রাখতে পছন্দ করেন। ঠিকমতো বাথরুম পরিষ্কার করেন না। ভারতীয় শাস্ত্রমতে, এতে একজনের ভাগ্যরেখায় চন্দ্রের অবস্থান খারাপ হয়। তাই বাথরুম পরিষ্কার রাখাটা দরকার এবং বাথরুম ব্যবহার করার পরে পানিতে ভিজে থাকা মেঝেও মুছে ফেলা উচিত।
খাবার নষ্ট করা : এ অভ্যাস একজনের ভাগ্যে দুর্ভোগ বয়ে আনে। তাই প্লেটে খাবার নষ্ট করাটা যেমন উচিত নয়, তেমনি খাওয়া ও খাওয়ার পরে অতি দ্রুত প্লেট ধুয়ে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা উচিত বলেও শাস্ত্রে বর্ণিত আছে। এমন না করলে ভাগ্যে শনির দশা শুরু হয়। খাবারের প্লেট ধুয়ে রাখলে মা লক্ষ্ণী খুশি হন এবং তিনি আশীর্বাদ করেন।
বিছানা অপরিষ্কার রাখা : অনেকেই বিছানা নোংরা করে রাখেন। এমনকী সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানাও ঝেড়ে রাখেন না। শাস্ত্র এবং বৈদিক মতে এতে সৌভাগ্য দূরে সরে যায়।
দেরিতে ঘুমানো : অনেকেই আছেন রাত করে ঘুমোতে যান। এতে জন্মকুণ্ডলীতে থাকা চন্দ্র রুষ্ট হন। এতে দুর্ভাগ্যকে আহ্বান করা হয়।
যত্রতত্র থুতু ফেলা : এতে লক্ষ্ণীদেবী রুষ্ট হন এবং তিনি অভিশাপ দেন। এমনকী আশপাশের জায়গা নোংরা করলেও লক্ষ্ণী রুষ্ট হন।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
সূর্যাস্তের পর ঘর মোছা : শাস্ত্রমতে সূর্যাস্তের পরে ঘর মোছা বা ঘর ঝাড়া অলক্ষীকে বয়ে আনে। সূর্যাস্তের পরে ঘর মোছার অর্থ নিজের সৌভাগ্যকে মুছে ফেলা বলে দাবি করা হয়েছে শাস্ত্রে।
বাস্তুশাস্ত্র না মেনে চলা : অত্যাধুনিক জীবনে মানুষ এসবের ধার ধারে না। কিন্তু শাস্ত্র বলছে বাস্তুশাস্ত্র এমন এক বিজ্ঞান যার মাধ্যমে নাকি প্রাকৃতিক শক্তি আমাদের মধ্যে কাজ করে। বাস্তুশাস্ত্র না-মানায় সৌভাগ্য দূরে চলে যায়।
বাস্তুশাস্ত্র বর্ণিত উত্তর দিকের মহিমাকে অস্বীকার : শাস্ত্রমতে উত্তরদিকে দেবতাদের বাস এবং সেখানে ধনসম্পত্তি থাকে। অনেকে উত্তর-পূর্ব কোণে সেফটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করেন, যা দুর্ভাগ্য বয়ে আনার অন্যতম কারণ বলে শাস্ত্রে উল্লেখ আছে।
ঘরের জানলা বন্ধ রাখা : বহু মানুষই ঘরের জানলা দিনের পর দিন খোলেন না। শাস্ত্রমতে এর ফলে ঘরে কোনো পজিটিভ এনার্জি প্রবেশ করে না। এতে শরীরেও কোনো পজিটিভি ফিলিং তৈরি হয় না। এটা দুর্ভাগ্যের লক্ষণ। দিনে অন্তত ২০ মিনিট করে ঘরের জানলা খুলে রাখা উচিত বলে শাস্ত্রে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বন্ধ ঘড়ি ঘরে রেখে দেওয়া : ঘরে বন্ধ ঘড়ি থাকা মানে সৌভাগ্য থমকে যাওয়া। তাই ঘরের সব ঘড়ি যেন ঠিকমতো কাজ করে তা নজরে রাখা উচিত। নচেৎ, সৌভাগ্য তো আসবেই না বরং নেমে আসবে দুর্ভাগ্য।