কাঁচা বাদাম নাকি ভাঁজা বাদাম?
শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর থাকতে চিকিৎসকেরা রোজ বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। অনেকেই বাদাম কাঁচা কিংবা জলে ভিজিয়ে, দুভাবেই খেয়ে থাকেন।
এক মুঠো বাদামে দুইশ ক্যালোরি পাওয়া যায়। বাদামে যে ধরনের চর্বি পাওয়া পাওয়া যায়, তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। দৈনিক এক মুঠো বাদাম শরীরে HDL কোলেস্টেরল বাড়ায় যা স্বাস্থ্যকর। বাদাম এত স্বাস্থ্যকর হওয়ার কারন এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, আঁশ, মনস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড চর্বি আর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রভৃতি। তবে তেলে ভাজা বাদাম, মধু বা চিনি মেশানো বাদাম খেলে উপকারের পরিবর্তে অপকারই বেশি হবে। এতে ওজন বাড়বে। রক্তচাপ বাড়বে। বাদাম দৈনিক এক মুঠোর বেশি খাওয়া উচিত নয়। পোলাও, হালুয়া, ফিরনি, জর্দা প্রভৃতির সাথে বাদাম খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার আশংকাই বেশি।
এই বিষয়গুলোর উপর ভিডিও বা স্বাস্থ্য বিষয়ক ভিডিও দেখতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি ঠিকানা: – YouTube.com/HealthDoctorBD
কাচা বাদাম শরীরের জন্য বেশি উপকারী কেননা ভাজা বাদামে প্রচুর ফ্যাট থাকে এতে এসিডিটি ও বাড়ে যাদের এসিডিটির সমস্যা আছে তাদের ভাজা বাদাম এড়িয়ে চলাই ভালো
বাদামের প্রোটিন দেহ গঠনে ও মাংসপেশী তৈরিতে সাহায্য করে। কাঁচা বাদাম কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ও হার্টের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, যা হাড় গঠনে সাহায্য করে। বাদামে রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা রক্তে লোহিতকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে। বাদামের ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিন ত্বক ও চুল সুন্দর রাখে। ত্বকে বলিরেখা বিলম্বিত করে।
বয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্যও বাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে আমাদের দেশে ৪০ বছরের পর বেশির ভাগ মানুষের অসটিও পোরোসিস হয়, এই অসুখে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, যা পুরো শরীরের ওপর ফেলে ক্ষতিকর প্রভাব।
এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন দেহের ওজন কমানো, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও নিয়মিত ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।